শুক্রবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০২২ ০০:০০ টা

পুতিনের মুখে ফের পারমাণবিক যুদ্ধ

পুতিনের মুখে ফের পারমাণবিক যুদ্ধ

পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের এমন মন্তব্যের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। পুতিনের প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে গতকাল মার্কিন পররাষ্ট্র দফতরের মুখপাত্র নেড প্রাইস সাংবাদিকদের বলেন, আমরা মনে করি পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে আলগা কথাবার্তা সম্পূর্ণ দায়িত্বজ্ঞানহীন।

আগের দিন বুধবার রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন ইঙ্গিত দিয়েছেন, ইউক্রেনে রুশ সেনারা হয়তো দীর্ঘ দিন লড়াই করবে। তিনি আরও বলেন, পারমাণবিক যুদ্ধের ঝুঁকি বাড়ছে। কিন্তু রাশিয়া বেপরোয়াভাবে এমন অস্ত্র ব্যবহার করবে না। তিনি বলেন, রাশিয়া অবশ্যই প্রথমে আক্রমণ করবে না। অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়লেই কেবল পাল্টা আক্রমণ করবে রুশ বাহিনী। রাশিয়া তার অস্ত্রাগারকে প্রতিশোধ নেওয়ার উপায় হিসেবে দেখেছে উল্লেখ করে পুতিন বলেন, ‘আমরা পাগল হয়ে যাইনি; আমরা জানি পারমাণবিক অস্ত্র কী।’ তিনি বলেন, ‘অন্য যে কোনো পারমাণবিক অস্ত্রধারী দেশের তুলনায় আমাদের উপায়গুলো (পারমাণবিক অস্ত্র) আরও উন্নত এবং আধুনিক তবে এই ব্যবস্থাকে আমরা বিশ্বের ওপর প্রয়োগ করতে চাই না।’

জুলাইয়ের পর থেকে ইউক্রেনে বড় ধরনের কয়েকটি ব্যর্থতার মুখে পড়েছে রুশ বাহিনী। তবে পুতিন বলে আসছেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ইউরোপের সবচেয়ে বিপর্যয়কর যুদ্ধ শুরু করা নিয়ে তার কোনো অনুশোচনা নেই।

ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর পশ্চিমা নেতারা সতর্ক করে আসছেন, ইউক্রেন যুদ্ধে পুতিন পারমাণবিক অস্ত্র ব্যবহার করতে পারেন।

এর আগে, গেল সেপ্টেম্বরেও পারমাণবিক অস্ত্রের হুমকি দিয়েছিলেন পুতিন; সে সময় রুশ প্রেসিডেন্টের অমন বক্তব্যের পর মস্কোকে সতর্ক করেছিল ওয়াশিংটন। এদিকে, যুদ্ধ আরও দীর্ঘ হলেও আপাতত এই মুহূর্তে অতিরিক্ত সৈন্য নিয়োগ বা মোবিলাইজেশনের পকিল্পনা নেই বলে জানিয়েছেন রুশ প্রেসিডেন্ট।

পুতিন বলেন, ‘বিশেষ সামরিক অভিযানের সময়কালটি আরও দীর্ঘ হতে পারে। তবে কোনো অতিরিক্ত সেনা মোতায়েনের বা মোবিলাইজেশনের নির্দেশ দেওয়ার অর্থ নেই এই মুহূর্তে।’ গেল সেপ্টেম্বর ও অক্টোবরে অন্তত ৩ লাখ রিজার্ভস্ট (রিজার্ভ সেনা) ডাকা হয় রাশিয়ায়। রিজার্ভিস্ট বলতে সেসব সেনাকে বোঝায়, যারা আগে সামরিক বাহিনীতে কাজ করেছেন বা যাদের এ সংক্রান্ত পূর্ব অভিজ্ঞতা রয়েছে।

পুতিন জানান, ৩ লাখ রিজার্ভ সেনার মধ্যে দেড় লাখ ইউক্রেনে মোতায়েন করা হয়েছে; এই দেড় লাখের মধ্যে ৭৭ হাজার যুদ্ধ ইউনিটে এবং অন্যরা প্রতিরক্ষামূলক কাজে নিয়োজিত। আর বাকি দেড় লাখের এখনো প্রশিক্ষণ চলছে।

সর্বশেষ খবর