সর্বশেষ দেখা হয়েছিল গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুরু হওয়ার আগে। এর মধ্যে দুই পরাশক্তি দেশ রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের আর দেখা হয়নি। অবশেষে তাদের মধ্যে শুধু দেখা নয়, কথাও হলো দিল্লিতে। জি-২০ সম্মেলনের সাইডলাইনে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই ল্যাভরভের সঙ্গে বৈঠক করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে যখন মস্কো ও ওয়াশিংটনের মধ্যে উত্তেজনা তুঙ্গে তখনই দিল্লিতে এ বৈঠকের খবর পাওয়া গেল। সিএনএন জানিয়েছে, ল্যাভরভ ও ব্লিঙ্কেন প্রায় ১০ মিনিট নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেন। এতে পল ওহেলানকে মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানান ব্লিঙ্কেন। এ ছাড়া ইউক্রেনের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের অব্যাহত সমর্থনের পক্ষেও কথা বলেন তিনি। জানা গেছে, এ বৈঠক নিয়ে আগে থেকে কোনো পরিকল্পনা ছিল না। ব্লিঙ্কেনই প্রথম ল্যাভরভের দিকে এগিয়ে যান এবং বৈঠকের প্রস্তাব দেন। এর আগে সর্বশেষ এ দুই কূটনীতিক যখন বৈঠকে বসেছিলেন তখনও ইউক্রেন অভিযান শুরু করেনি রাশিয়া। এএফপির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্লিঙ্কেন ও লাভরভ সর্বশেষ গত বছরের জুলাইয়ে ইন্দোনেশিয়ার বালিতে জি-২০ সম্মেলনে এক কক্ষে উপস্থিত হয়েছিলেন। তবে লাভরভ সেখান থেকে বেরিয়ে যান বলে পশ্চিমা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে যুক্তরাষ্ট্রের একজন কর্মকর্তা বলেছেন, বৈঠকে ব্লিঙ্কেন ইউক্রেনকে রক্ষায় ওয়াশিংটনের অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে লাভরভের এ বৈঠককে খুব একটা গুরুত্ব দেননি। রাশিয়ার বার্তা সংস্থা আরআইএ নভোস্তিকে তিনি বলেছেন, ব্লিঙ্কেনই এ বৈঠকের উদ্যোগ নিয়েছিলেন এবং এটা স্থায়ী কিছু নয়। গুরুত্বপূর্ণ কোনো আলোচনা বা প্রকৃত অর্থে কোনো বৈঠক হয়নি। তবে বৈঠকে রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সামনে তিনটি বিষয় তুলে ধরেন ব্লিঙ্কেন। সেগুলো হলো যুদ্ধ শেষ হতে যত দিন লাগুক, সে পর্যন্ত ইউক্রেনকে সহায়তা করে যাবে যুক্তরাষ্ট্র; রাশিয়ার উচিত পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ চুক্তি ‘নিউ স্টার্ট’ স্থগিতের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা এবং রাশিয়ার হাতে বন্দি যুক্তরাষ্ট্রের পল হেলানকে মুক্তি দেওয়া।