নয় মাসের বেশি সময় ধরে ফিলিস্তিনে হত্যাযজ্ঞ চালিয়ে যাচ্ছে ইসরায়েল। মানবাধিকারের ন্যূনতম অধিকারটুকুও দেখায়নি ইসরায়েলি বাহিনী। ইহুদি রাষ্ট্রটির এ বর্বর আগ্রাসি হামলায় ক্ষোভ বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। বিশেষ করে চরম ক্ষুব্ধ বিশ্বের মুসলিম দেশগুলো।
এমন পরিস্থিতিতে অসহায় ফিলিস্তিনিদের সাহায্য করতে ইসরায়েলে প্রবেশ করতে পারে তুরস্ক। এমনটাই বলেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। রবিবার তিনি বলেন, ইসরায়েলে প্রবেশ করবে তুরস্ক, যেমনটা এর আগে লিবিয়া ও নাগরনো-কারাবাখ অঞ্চলে করেছিল। কিন্তু সেখানে গিয়ে কেমন অভিযান চালাবে তারা বা তাদের ভূমিকা কী হবে, তা স্পষ্ট করেননি তিনি। তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণলায়ের কাজের প্রশংসা করতে গিয়ে গাজার পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে শুরু করেন এরদোগান। আগে থেকেই গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলের হামলার কড়া সমালোচক তিনি। নিজের শহর রিজেতে তাঁর দল এ কে পার্টির বৈঠকে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমাদের খুব শক্ত থাকতে হবে যাতে ইসরায়েল এমন উদ্ভট কাজ ফিলিস্তিনে না করতে পারে। যেভাবে আমরা কারাবাখে ঢুকলাম, যেভাবে আমরা লিবিয়ায় প্রবেশ করেছি তেমনই কিছু আমরা সেখানে করতে পারি। আর তা না করার কোনো কারণও নেই। আমাদের শক্তিশালী হতে হবে যাতে এমন পদক্ষেপ নিতে পারি। ২০২০ সালে তুরস্ক লিবিয়ার জাতিসংঘ-স্বীকৃত জাতীয় ঐকমত্যের সরকারের সমর্থনে ত্রিপোলিতে সামরিক বাহিনীর সদস্যদের পাঠিয়েছিল। নাগরনো-কারাবাখে আজারবাইজানের সামরিক অভিযানে সরাসরি কোনো ভূমিকা রাখার কথা অস্বীকার করেছে তুরস্ক, কিন্তু গত বছর তারা জানায় প্রতিবেশী ঘনিষ্ঠ মিত্র দেশকে সমর্থন দিতে তারা সামরিক প্রশিক্ষণ ও আধুনিকায়নসহ ‘সব ধরনের’ উপায় ব্যবহার করেছে।
এরদোগানের পরিণতি সাদ্দামের মতো হবে-ইসরায়েলের হুঁশিয়ারি : এদিকে এরদোয়ানের মন্তব্যের পর ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাৎজ বলেছেন, তুরস্ক যদি গাজা যুদ্ধে হস্তক্ষেপের চেষ্টা করে, তাহলে দেশটির প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোগানের পরিণতি সাদ্দাম হোসেনের মতো হতে পারে। গতকাল ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী এক্স পেজে দেওয়া পোস্টে এ হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। ইরাকের সাবেক প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন ২০০৩ সালে মার্কিন বাহিনীর হাতে আটক হন এবং পরে তাঁকে ফাঁসি দেওয়া হয়।