গাজায় যুদ্ধবিরতি ও জিম্মি মুক্তি চুক্তি চূড়ান্ত করতে ১৫ আগস্ট জরুরি আলোচনায় বসার জন্য ইসরায়েল ও হামাসকে আহ্বান জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার। এ দেশ তিনটি ইসরায়েল ও হামাসের মধ্যে চুক্তির জন্য দীর্ঘদিন ধরে মধ্যস্থতার চেষ্টা করছে। বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে দেশগুলো ওই আহ্বান জানিয়েছে। কাতারের রাজধানী দোহা কিংবা মিসরের রাজধানী কায়রোতে এ আলোচনা হতে পারে বলে জানানো হয়েছে বিবৃতিতে।
গত নভেম্বরে ইসরায়েল ও হামাস এক সপ্তাহের মতো অস্ত্রবিরতিতে রাজি হয়েছিল। সেই সময় দুই পক্ষই কিছু বন্দিকে মুক্তি দেয়। কিন্তু তারপর মধ্যস্থতাকারীদের চেষ্টা সত্ত্বেও দুই পক্ষের মধ্যে আর কোনো সমঝোতা হয়নি। এ অচলাবস্থার জন্য দুই পক্ষই একে অন্যকে দায়ী করেছে। তিন মধ্যস্থতাকারী দেশ যৌথ বিবৃতিতে বলেছে, ১৫ আগস্টের মধ্যে দুই পক্ষ যেন আলোচনা শুরু করে। খসড়া সমঝোতা তৈরি। শুধু তার খুঁটিনাটি বিষয়গুলো ঠিক করতে হবে। বিবৃতিতে আরও বলেছে, ‘চুক্তির একটি রূপরেখা এখন আলোচনার টেবিলে আছে। এর বাস্তবায়ন-সংক্রান্ত বিষয়গুলোর বিস্তারিত নির্ধারণ কেবল বাকি আছে। নষ্ট করার মতো সময় নেই। কিংবা আরও বিলম্ব করার জন্যও কোনো দলের পক্ষ থেকে অজুহাত দেওয়ার নেই। এখন জিম্মিদের মুক্ত করার সময়, যুদ্ধবিরতি শুরু করার সময় এবং চুক্তি বাস্তবায়নের সময়।’ নেতারা অমীমাংসিত কিছু বিষয়ের সমাধান করার জন্য চূড়ান্ত একটি সংযোজনমূলক প্রস্তাব উপস্থাপনের প্রস্তাবও করেছেন।
ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, ইসরায়েলের আলোচকরা সেখানে থাকবেন। তাদের লক্ষ্য হলো, চুক্তির বিস্তারিত রূপরেখা চূড়ান্ত করা ও তা বাস্তবায়ন করা। তবে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী গোষ্ঠী হামাস এ বিষয়ে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। তিন দেশের পক্ষ থেকে এমন সময়ে বিবৃতি দেওয়া হলো, যখন হামাস ও হিজবুল্লাহর নেতা হত্যাকে কেন্দ্র করে ইরান বদলা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে এবং অঞ্চলে বড় ধরনের সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বিরাজ করছে। যুক্তরাষ্ট্র প্রশাসনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, আগামী সপ্তাহের মধ্যে সমঝোতা চুক্তি সই হওয়ার আশা নেই। কারণ, হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে আলোচনাসহ গুরুত্বপূর্ণ নানা বিষয়ে সুরাহা হতে সময় লাগবে। তবে আলোচনার টেবিলে দুই পক্ষেরই সক্রিয় থাকা দরকার।
এ আহ্বানে দ্রুত সাড়া দিয়েছে ইসরায়েল। দেশটির প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয় আগামী সপ্তাহে আলোচনায় অংশ নিতে একটি প্রতিনিধি দল পাঠানোর কথা জানিয়েছে। তবে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সংগঠন হামাস এখনো এ বিষয়ে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।