হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের নতুন রিপোর্টের পর ভারতের রাজনীতিতে ব্যাপক আলোচনা শুরু হয়েছে। ওই রিপোর্টের পর বিরোধী শিবিরে বেশ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে। সেই রিপোর্টকে হাতিয়ার করে বিরোধী জোট ‘ইন্ডিয়া’র বিভিন্ন শরিক কারচুপি ধামাচাপা দেওয়ার অভিযোগে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে নরেন্দ্র মোদি সরকারকে। নতুনভাবে দাবি উঠেছে, যুগ্ম সংসদীয় তদন্ত কমিটি গঠনের, যে দাবি এক বছর ধরে সরকার মানেনি। শনিবার সন্ধ্যায়, হিন্ডেনবার্গ রিসার্চ তার ওয়েবসাইটে আরেকটি পোস্ট করেছে এবং এই প্রকাশের সঙ্গে সম্পর্কিত একটি প্রতিবেদন শেয়ার করেছে। হিন্ডেনবার্গ এ প্রতিবেদনে দাবি করেছে আদানি গ্রুপ এবং সেবি প্রধানের মধ্যে যোগসূত্র রয়েছে। আমেরিকান শর্ট সেলার ফার্ম হিন্ডেনবার্গ। সংস্থাটি অভিযোগ করেছে, হুইসেলবোয়িংয়ের মাধ্যমে প্রাপ্ত নথিগুলো প্রমাণ করে যে সেবি চেয়ারম্যান মাধবী পুরি বুচের অফশোর সংস্থাগুলোতে অংশীদারি রয়েছে। যা আদানি অর্থ সিফনিং কেলেঙ্কারিতে ব্যবহৃত হয়েছিল।
অবশ্য এবার তার জবাব দিয়েছে আদানি গ্রুপ। আদানি গ্রুপ হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের সাম্প্রতিক অভিযোগগুলোকে দৃঢ়ভাবে প্রত্যাখ্যান করেছে। তাদের রিপোর্টকে ‘দুষ্ট এবং কারসাজিমূলক’ বলে মন্তব্য করেছে তারা। গতকাল একটি বিবৃতিতে, আদানি গ্রুপ বলেছে সর্বশেষ অভিযোগগুলো ‘অসম্মানজনক পুনর্দাবি’ যা আদালতে ভিত্তিহীন প্রমাণিত হয়েছে।
মূলত আদানি গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে শেয়ারমূল্য কারচুপির অভিযোগ তোলার পর মার্কিন সংস্থা হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের নতুন অভিযোগ ভারতের শেয়ারবাজারের নিয়ন্ত্রক ‘সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড’ বা ‘সেবি’র প্রধান মাধবী পুরী বুচ ও তার স্বামী ধবল বুচের বিরুদ্ধে। সাম্প্রতিকতম রিপোর্টে তারা বলেছে, আদানি গোষ্ঠীর শেয়ারদর কারচুপির অভিযোগ ‘সেবি’ ঠিকমতো তদন্ত করেনি; কারণ, সংস্থার কর্ণধারেরই স্বার্থ সেখানে জড়িয়ে ছিল।
হিন্ডেনবার্গ শনিবার জানায়, বিদেশে যে দুই সংস্থার তহবিল ব্যবহার করে ঘুরপথে আদানিদের সংস্থায় বিনিয়োগ করা হয়েছিল, একসময় তার অংশীদার ছিলেন মাধবী। এ কারণেই ‘সেবি’ হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট অনুযায়ী তদন্ত করে বিদেশি তহবিলের মালিকানার হদিস পায়নি।