গাজায় ইসরায়েলি হামলা নিয়ে ফের সরব হলেন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও দেশটির সম্ভাব্য প্রেসিডেন্ট প্রার্থী কমলা হ্যারিস। গত পরশু গাজায় একটি স্কুল ভবনে ইসরায়েলি বিমান হামলায় শতাধিক মানুষ নিহতের পর নিন্দাও জানিয়েছেন তিনি।
শনিবার বাস্তুচ্যুত ফিলিস্তিনিদের আশ্রয় কেন্দ্রে এ বিমান হামলা হয়। হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত হয়েছেন বলে বিবিসিকে জানিয়েছেন হাসপাতালের পরিচালক।
হ্যারিস বলেছেন, ‘আবারও বহু সংখ্যক বেসামরিক মানুষ নিহত হয়েছে। তিনি জিম্মি চুক্তি এবং যুদ্ধবিরতি করার আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করেছেন। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর এক মুখপাত্র বলেছেন, আল-তাবাঈন স্কুলটি হামাস ও ইসলামিক জিহাদের সক্রিয় সামরিক স্থাপনা হিসেবে ব্যবহৃত হতো। অ্যারিজোনার ফিনিক্সে এক নির্বাচনি প্রচারণা অনুষ্ঠানে কমলা হ্যারিস বলেন, হামাসের বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর অধিকার ইসরায়েলের আছে, কিন্তু বেসামরিক হতাহতের ঘটনা এড়ানোও তাদের ‘গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব’।
শনিবারের বিমান হামলার সমালোচনা করেছে পশ্চিমা ও আঞ্চলিক শক্তিগুলো। মিসর বলেছে, এ হামলা প্রমাণ করে, যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো বা যুদ্ধ শেষ করার কোনো ইচ্ছা ইসরায়েলের নেই।
যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের মুখপাত্র শন স্যাভেট বলেছেন, আমরা বারবার বলেছি, ইসরায়েলকে অবশ্যই বেসামরিক ক্ষতি কমানোর জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। কয়েক সপ্তাহে গাজায় এ ধরনের কয়েকটি আশ্রয় কেন্দ্রে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। জাতিসংঘের মতে, ৬ জুলাই পর্যন্ত গাজার ৫৬৪টি স্কুল ভবনের মধ্যে ৪৭৭টি সরাসরি আঘাত লেগেছে বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।