যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাবিত গাজা যুদ্ধবিরতির পরিকল্পনায় সম্মত হয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। এমনটাই দাবি জানিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সোমবার তেল আবিবে এমন দাবি জানিয়েছেন তিনি। গতকাল এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে জার্মানভিত্তিক গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলে।
ব্লিঙ্কেন জানিয়েছেন, নেতানিয়াহুর সঙ্গে তার খুবই কার্যকর বৈঠক হয়েছে। সেখানে নেয়ানিয়াহু তাকে জানিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যে যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিয়েছে তা তিনি মেনে নিচ্ছেন। এখন হামাস তা মেনে নিক। ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘ইসরায়েলের বন্দিদের মুক্তি দিয়ে গাজায় ফিলিস্তিনিদের স্বস্তি ফেরানোর বিষয়টি এখন হামাসের ওপর নির্ভর করছে।’ এর আগে সোমবার গাজায় চলমান যুদ্ধের অবসান ও বন্দি মুক্তির চুক্তি প্রস্তাব সম্ভবত শেষ সুযোগ হতে পারে বলে ইসরায়েল ও হামাসকে সতর্ক করেছিলেন ব্লিঙ্কেন। হামাসকে সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে মনে করে ইইউ, যুক্তরাষ্ট্র, ইসরায়েলসহ কয়েকটি দেশ।
ব্লিঙ্কেন বলেছেন, ‘এটা নির্ণায়ক মুহূর্ত। যুদ্ধবিরতি করে বন্দিদের ঘরে ফেরানোর এবং দীর্ঘস্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার এর থেকে ভালো সুযোগ সম্ভবত আর পাওয়া যাবে না।’ ইসরায়েলে প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার পর গতকালই ব্লিঙ্কেনের কাতার সফরে যাওয়ার কথা। কাতারও মধ্যস্থতার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। কাতারের সঙ্গে তিনি যুদ্ধবিরতির বিষয়টি নিয়ে কথা বলবেন। পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করবেন।
মধ্যস্থতাকারীদের একাংশ মনে করছেন, যুদ্ধবিরতি চুক্তি এবার হয়ে যাবে, তবে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে উত্তেজনার ফলে এ সংঘাত আরও বাড়ার আশঙ্কাও করছেন অনেকে। এ সপ্তাহের শেষদিকে মিসরে যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনা হবে। ইসরায়েল-হামাস সংঘাত শুরুর পর ১০ মাসে এ নিয়ে নয়বার মধ্যপ্রাচ্য সফর করলেন ব্লিঙ্কেন। এদিকে নেতানিয়াহু জানিয়েছেন, তার সঙ্গে ব্লিঙ্কেনের বৈঠক সার্থক হয়েছে। এ সময় কেউ যেন এমন কোনো কাজ না করে, যাতে এ প্রক্রিয়া বানচাল হয়ে যায়।
দক্ষিণ লেবাননে সহিংসতা বেড়েছে : দক্ষিণ লেবাননে ইসরায়েলের হামলায় দুজন হিজবুল্লাহ সদস্যের মৃত্যু হয়েছে। ইসরায়েল জানিয়েছে, হিজবুল্লাহ তাদের সেনাকে লক্ষ্য করে একাধিক আক্রমণ করে। এর ফলে একজন সেনার মৃত্যু হয়েছে কয়েকজন আহত হয়েছেন বলেও তারা জানিয়েছে। হিজবুল্লাহকে ইরান সমর্থন করে, তবে ইইউ তাদের সন্ত্রাসবাদী সংগঠন বলে মনে করে। হিজবুল্লাহর অভিযোগ, ইসরায়েল লেবানন সীমান্ত দিয়ে ঝুঁকে পড়তে চাইছে।