চীনের ক্রমবর্ধমান সামরিক শক্তি মোকাবিলা করতে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্বয়ংক্রিয় প্রযুক্তি ও সেনাবাহিনীর পরিস্থিতি উন্নয়নে বিনিয়োগ করবে জাপান। গতকাল এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে জাপানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
বার্ষিক বাজেট প্রস্তাবনায় প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে বলা হয়, ‘আমরা সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করে চলেছি। তাই আমাদের প্রতিষ্ঠান এমনভাবে গড়ে তোলা প্রয়োজন যেন নতুন পরিস্থিতিতেও লড়াই চালিয়ে যেতে পারি।’ তাদের পক্ষ থেকে প্রতিরক্ষা খাতে ৬ দশমিক ৯ শতাংশ ব্যয় বৃদ্ধির অনুরোধ করা হয়েছে। এতে প্রতিরক্ষা ব্যয় দাঁড়াবে ৮ দশমিক ৫ ট্রিলিয়ন ইয়েন (৫৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)।
দেশটির ‘সেলফ ডিফেন্স ফোর্স (এসডিএফ)’ এ সবচেয়ে কম সংখ্যক নিয়োগের পর এই সিদ্ধান্ত এলো। ৩১ মার্চ পর্যন্ত ১০ হাজারের কম নাগরিক নৌ, সামরিক ও বিমান বাহিনীতে যোগদান করেছে, যা দেশটির লক্ষ্যমাত্রার অর্ধেক। ২০২২ সালে প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা প্রতিরক্ষা খাতে খরচ দ্বিগুণ করার ঘোষণা দিয়েছিলেন। পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ক্ষেপণাস্ত্রসহ অন্যান্য যুদ্ধাস্ত্র ও যুদ্ধবিমান ক্রয় এবং দক্ষ সাইবার প্রতিরক্ষা বাহিনী গড়ে তোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রতিবেশী তাইওয়ানকে বলপূর্বক দখল করতে পারে চীন, যার ফলে জাপানও যুদ্ধে জড়িয়ে যেতে পারে।
এ আশঙ্কা থেকেই শক্তি বৃদ্ধিতে মনোযোগ দেওয়া হয়। জাপানের ক্রমহ্রাসমান জন্মহারও তাদের জন্য একটি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। এতে তাদের বর্তমানে ২ লাখ ৫০ হাজার সদস্যের বাহিনীর আকার বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় ১৮ বিলিয়ন ইয়েন ব্যয় করা হবে। এ ছাড়া মনুষ্যবিহীন ড্রোন এবং স্বয়ংক্রিয় আকাশ প্রতিরক্ষা বাহনের জন্য ৩১৪ বিলিয়ন ইয়েন ব্যয় করা হবে। এসব পদক্ষেপের ফলে সদস্য কম থাকার বিষয়টি মোকাবিলা করা যাবে। পাশাপাশি প্রতিরক্ষা বাহিনীতে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধিতে পদক্ষেপ নেওয়ার চেষ্টা চলছে। বাহিনীর মাত্র ১০ শতাংশ সদস্য নারী। বিশেষত যৌন হয়রানির একাধিক অভিযোগে নারীদের অংশগ্রহণ বৃদ্ধি কঠিন হয়ে আছে। এসব সমস্যা সমাধানের পাশাপাশি নারী সদস্যদের জন্য উন্নত শৌচাগার ও গোসলখানা নির্মাণে ১৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ইয়েন ব্যয় করা হবে।