ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় চিকিৎসক ধর্ষণ-খুনের ২৬ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে আরজি কর মেডিকেলের সাবেক অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষকে। টানা ১৫ দিন জিজ্ঞাসাবাদের পর তাকে গ্রেপ্তার করল সিবিআইয়ের দুর্নীতি দমন শাখা।
তাকে গত শনি ও রবিবার শুধু জেরা করা হয়নি। জিজ্ঞাসাবাদের সময় সন্দীপ ঘোষকে সিবিআইয়ের রাজ্য দপ্তর সিজিও কমপ্লেক্সে দৈনিক ১০ থেকে ১৪ ঘণ্টা পর্যন্ত থাকতে হয়েছিল। গতকাল সন্দীপ ঘোষকে আবার তলব করা হয় সিজিও কমপ্লেক্সে। সন্ধ্যায় সেখান থেকে বের করে সিবিআই কর্মকর্তারা তাকে নিজাম প্যালেসে নিয়ে যান। এর পরেই সিবিআই সন্দীপ ঘোষকে গ্রেপ্তারের ঘোষণা দেয়। এ পরিস্থিতিতে যে প্রশ্নটা উঠছে, সন্দীপ ঘোষ তো গ্রেপ্তার হলো, এবার কি তাহলে কর্মবিরতি তুলে নেবেন জুনিয়র চিকিৎসকরা? এ প্রসঙ্গে আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের পক্ষে অনিকেত মাহাতো বলেন, ‘এ মুহূর্তে নয়। ন্যায়বিচারের দাবিতে আমাদের আন্দোলন। ৩,৪,৫ আমাদের কর্মসূচি আছে। ৫ তারিখে সুপ্রিম কোর্টের দিকে আমরা তাকিয়ে আছি।’
পুলিশ কমিশনারের পদত্যাগ দাবি : নারী চিকিৎসক ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের তদন্তে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করার অভিযোগে কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের পদত্যাগের দাবিতে অবস্থান ধর্মঘট শুরু করেছেন জুনিয়র চিকিৎসকরা। এতে পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন হাসপাতালের জুনিয়র চিকিৎসকরা যোগ দিয়েছেন। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ-হত্যার ঘটনা যথাযথভাবে তদন্ত না করে পুলিশ ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করেছে। বাঁচাতে চাইছে কাউকে। কলকাতার পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েল তদন্তের নামে বিভিন্ন তথ্য ও নথিপত্র লোপাট করেছেন। তাই জুনিয়র চিকিৎসকরা অবিলম্বে তার পদত্যাগ দাবি করেছেন।