ভারতের পশ্চিমবঙ্গে কলকাতায় আরজি কর হাসপাতালে নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনার প্রতিবাদ চলছে নানাভাবে। আরজি করের ওই মর্মান্তিক ঘটনার প্রায় এক মাস কেটে গেলেও প্রতিবাদের তীব্রতা কমেনি, বরং বেড়েছে। এর মধ্যে কয়েকজন বিশিষ্ট নাগরিক চলতি পরিস্থিতিতে প্রতিবাদ জানাতে সরকারের দেওয়া পুরস্কার ফিরিয়ে দিয়েছেন। গত সপ্তাহে আলিপুরদুয়ারের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পরিমল দে ‘বঙ্গরত্ন’ ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান। ২০১৬ সালে উত্তরবঙ্গ উৎসবের মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘বঙ্গরত্ন’ সম্মান তুলে দেন তার হাতে। প্রবীণ শিক্ষক বলেন, ‘পশ্চিমবঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই নৈরাজ্য চলছে। দুর্নীতি হয়েছে, পাশাপাশি আরজি করে যে অমানবিক ঘটনা ঘটেছে, তাতে উত্তাল হয়ে উঠেছে বাংলা। এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়াতে বঙ্গরত্ন সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিলাম।’ নাট্যক্ষেত্রে সর্বোচ্চ সম্মাননা ‘দীনবন্ধু মিত্র পুরস্কার’। এই সম্মান ফিরিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন প্রবীণ নাট্যকার চন্দন সেন। সম্প্রতি শাসক দলের বিধায়ক কাঞ্চন মল্লিক জুনিয়র চিকিৎসকদের সম্পর্কে আপত্তিকর মন্তব্য করায় ব্যথিত এই নাট্যব্যক্তিত্ব। অভিনেত্রী সুদীপ্তা চক্রবর্তী ফিরিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের দেওয়া বিশেষ পুরস্কার। নাট্য অ্যাকাডেমি সেরা নির্দেশকের পুরস্কার দিয়েছিল বিপ্লব বন্দ্যোপাধ্যায়কে। এই নির্দেশক তার সম্মান ফিরিয়ে দিয়েছেন।
অধ্যাপক ও গবেষক অভ্র ঘোষ প্রতিবাদে ফিরিয়েছেন বিদ্যাসাগর পুরস্কার। তার আজীবন গবেষণাকর্মের স্বীকৃতি এই সম্মান। পুরস্কার ফিরিয়েছেন চিন্তাবিদ, গবেষক আশীষ লাহিড়ী।
অনুদান প্রত্যাখ্যান : পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রতি বছর দুর্গাপূজা কমিটিগুলোকে অনুদান দেয়। আর মাসখানেক পর পূজা। রাজ্য সরকার প্রতি কমিটিকে এবার ৮৫ হাজার টাকা অনুদান দিচ্ছে। মোট ৪৩ হাজার পূজা কমিটিকে অনুদান দিচ্ছে রাজ্য। তবে অনেক পূজা কমিটিই এবার সরকারি অনুদান ফিরিয়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।