বিক্ষোভে উত্তাল মণিপুরে এবার কারফিউ জারি করা হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল রাজ্যের তিন জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। গত কয়েকদিনে দফায় দফায় গুলি বিনিময়, বোমা বিস্ফোরণ, ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র হামলা, বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু, মণিপুর রাইফেলসের দুটি ব্যাটালিয়নের অস্ত্রাগার থেকে অস্ত্রশস্ত্র লুটের চেষ্টাসহ একাধিক ঘটনায় উদ্বেগজনক পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। অবস্থা সামাল দিতে মোতায়েন করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক পুলিশ ও যৌথ বাহিনী। মূলত রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থতার অভিযোগে পুলিশ মহাপরিদর্শক (ডিজিপি) এবং নিরাপত্তা উপদেষ্টাকে অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীরা কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার পরিকল্পনা নিলে ইম্ফলের দুই জেলা ইম্ফল পশ্চিম, ইম্ফল পূর্বে এ আদেশ আসে। একইভাবে থৌবালে সোমবার শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সহিংসতা রূপ নিলে সেখানেও কারফিউ ঘোষণা করা হয়। আদেশ অনুযায়ী, স্বাস্থ্য, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ (পিএইচইডি), পৌর কর্মকর্তা/কর্মচারী, বিদ্যুৎ, পেট্রল পাম্প, আদালতের কার্যক্রম, বিমানযাত্রী এবং গণমাধ্যমকর্মীরা কারফিউর আওতা মুক্ত থাকবেন। এদিকে মণিপুরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা ও অস্থিরতার মধ্যে গত সোমবার রাজ্যের স্কুল এডুকেশনের পরিচালক ৯ ও ১০ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সব স্কুল বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘২০১৪ সালের ৬ সেপ্টেম্বর রাজ্যের সব সরকারি, সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত, বেসরকারি এবং কেন্দ্রীয় স্কুল ৯ ও ১০ বন্ধ থাকবে।’ গত সপ্তাহে মণিপুরের জিরিবাম জেলায় নতুন করে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে ছয়জনের মৃত্যু হয়। সন্দেহভাজন কুকি বিদ্রোহীরা রাজ্যের রাজধানী ইম্ফল থেকে ২২৯ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত নুংচাপ্পি গ্রামে হামলা চালায়।