প্রভাবশালীদের সমর্থনে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডেমোক্র্যাটিক প্রার্থী কমলা হ্যারিসের পাল্লা ভারী হচ্ছে। গতকাল তাঁকে সমর্থন জানিয়েছেন ৪ শতাধিক অর্থনীতিবিদ ও সাবেক উচ্চপদস্থ মার্কিন নীতিনির্ধারক। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতি নিয়ে তাঁর যে পরিকল্পনা রয়েছে, কার্যত সেটি সঠিক বলেই তাঁরা মনে করেন। গতকাল সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ৫ নভেম্বরের নির্বাচনে অর্থনীতির বিষয়টি ভোটারদের কাছে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় আসতে পারে। যাঁরা কমলাকে সমর্থন জানিয়েছেন, তাঁদের অধিকাংশই বামধারার অর্থনীতিবিদ ও নীতিনির্ধারক। তাঁরা বিভিন্ন সময় ডেমোক্র্যাট সরকারের অধীনে দায়িত্ব পালন করেছেন। আর গণহারে এভাবে সমর্থন প্রকাশ প্রতিদ্বন্দ্বী ডোনাল্ড ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতিকে পরাজিত করার চেষ্টা হিসেবে দেখা হচ্ছে।
কমলাকে যাঁরা সমর্থন দিয়েছেন তাঁদের মধ্যে আছেন জো বাইডেন প্রশাসনের অর্থনীতিবিদ ব্রায়ান ডিজি; বারাক ওবামা প্রশাসনের কর্মকর্তা জ্যাসন ফোরম্যান, বিল ডালি ও প্যানি প্রিজকার; বিল ক্লিনটন যুগের নীতিনির্ধারক রবার্ট রেইচ ও অ্যালান ব্লিনডার। অন্যদিকে ট্রাম্প মার্কিন অর্থনীতি নিয়ে ‘ভয়ের কার্ড’ খেলছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। সোমবার দোদুল্যমান অঙ্গরাজ্য পেনসিলভানিয়ায় গিয়ে তিনি কৃষকের এক সভায় বলেন, যদি তিনি হেরে যান, তাহলে কৃষক বেশিদিন কৃষিকাজ করতে পারবেন না। সমাবেশে তিনি গ্রামাঞ্চলের মার্কিনিদের ‘চীনের শোষণ’ থেকে রক্ষার অঙ্গীকার করেন। এর আগে ট্রাম্প বলেন, তিনি যদি হেরে যান, তাহলে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো অর্থনীতি অবশিষ্ট থাকবে না।
এ পরিস্থিতিতে গতকাল দ্য পলিটিকো অনলাইন জানায়, সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি সম্পর্কে বলেছেন, তিনি (জেলেনস্কি) খুব কঠোরভাবে আসন্ন নির্বাচনে কমলা হ্যারিসের বিজয় চান। পেনসিলভানিয়ায় তিনি বলেন, ‘আমি জেলেনস্কিকে এখানে দেখেছি। আমি মনে করি তিনি ইতিহাসের সবচেয়ে বড় বিক্রয়কর্মী।’
ট্রাম্পের সমাবেশের আগের দিন জেলেনস্কি পেনসিলভানিয়া সফর করেন। সেখানে তিনি বিস্ফোরক কারখানাও পরিদর্শন করেন। ট্রাম্প বলেন, ‘যখনই তিনি (জেলেনস্কি) এ দেশে আসেন, ৬০ বিলিয়ন ডলার নিয়ে যান। তিনি চান ডেমোক্র্যাটরা যাতে জেতে। কিন্তু আমি কাজটি ভিন্নভাবে করব; শান্তির জন্য কাজ করব।’