জার্মানি এবং সুইডেনকে আরও কাছে নিয়ে আসছে একটি সুড়ঙ্গ। আর সমুদ্রের নিচ দিয়েই তৈরি হচ্ছে এই সুরঙ্গ। মূলত অপেক্ষাকৃত কম দূরত্বের জন্য বিমানের বদলে পরিবেশবান্ধব রেলযাত্রাকে উৎসাহ দিতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। সেই লক্ষ্যে ডেনমার্ক ও জার্মানির মধ্যে দূরত্ব কমাতে এক সুড়ঙ্গপথ নির্মাণের কাজ চলছে। এটাই বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সুড়ঙ্গ, যার অংশগুলো আগে থেকেই তৈরি করা হয়েছে। প্রকল্পটি সব রেকর্ড ভাঙতে চলেছে।
ডেনমার্কের রাজার উৎসাহেই এটি হচ্ছে। ফলে প্রকল্পটির গুরুত্ব বোঝা যাচ্ছে। ২০২৯ সালের মধ্যে এটি শেষ হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই প্রকল্পে চমকের অভাব নেই। সুড়ঙ্গ তৈরির লক্ষ্যে ইউরোপের সবচেয়ে বড় নির্মাণের সাইট সৃষ্টি করতে হয়েছে। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভাসমান ড্রেজারও সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে। মোট ৮৯টি আগে থেকে তৈরি অংশজুড়ে সুড়ঙ্গটি তৈরি করা হচ্ছে। দুটি টিউবে ট্রেন ও দুটিতে গাড়ি চলবে।
বিশাল অংশগুলো সমুদ্রে ডুবিয়ে একটির সঙ্গে অন্যটি জোড়া দেওয়া হবে। তার পর ভিতরেও অনেক কাজ করতে হবে। সুড়ঙ্গটি ডেনমার্ককে জার্মানির উত্তরাংশের সঙ্গে যুক্ত করবে। ফলে রেলযাত্রী ও গাড়ি চালকদের আজকের তুলনায় ১৬০ কিলোমিটার কম পথ পাড়ি দিতে হবে। এটা ইউরোপীয় ইউনিয়নের এক প্রকল্পের অংশ, যার আওতায় ইউরোপের উত্তর ও দক্ষিণ অংশের মধ্যে রেল যাত্রা আরও দ্রুত করে তুলে বিমানযাত্রার প্রয়োজন দূর করার লক্ষ্য স্থির করা হচ্ছে।