ওয়াশিংটন ক্যারিবীয় অঞ্চলে নৌযানে হামলা বন্ধ না করা পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় স্থগিত রাখতে জননিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট সব বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন কলম্বিয়ার বামপন্থি প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো। ‘মাদকবিরোধী লড়াই কোনোভাবেই ক্যারিবীয় অঞ্চলের লোকজনের মানবাধিকার ক্ষুণ্ন করে হতে পারে না,’ মঙ্গলবার এক্সে দেওয়া এক পোস্টে তিনি একথা বলেছেন বলে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এদিকে ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বন্ধ করেছে যুক্তরাজ্য। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে হওয়া এসব হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বলে এ ধরনের পদক্ষেপ নিল যুক্তরাজ্য। ক্যারিবিয়ানে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে একের পর এক কথিত ‘মাদকবাহী নৌযানে’ যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় অন্তত ৭৫ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। ওই নৌযানগুলো আদৌ মাদক পরিবহন করছিল কি না, এখন পর্যন্ত তার কোনো প্রমাণও দেয়নি ওয়াশিংটন। এ হামলাগুলোর আইনি বৈধতা নিয়ে উদ্বেগ থেকে যুক্তরাজ্যও কলম্বিয়ার মতো একই ধরনের পদক্ষেপ নিয়েছে।-সিএনএন
, গণমাধ্যমের এমন একটি প্রতিবেদনও এক্সে শেয়ার দিয়েছেন পেত্রো। রয়টার্স ওই প্রতিবেদনের সত্যতা স্বতন্ত্রভাবে যাচাই করতে পারেনি। ক্যারিবিয়ানে হামলা যুদ্ধাপরাধজনিত আইন লঙ্ঘন করেছে কি না তা খতিয়ে দেখতে পেত্রো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে তদন্তেরও আহ্বান জানিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের লাগাতার এসব হামলায় এরই মধ্যে ভেনেজুয়েলা, একুয়েডর, কলম্বিয়া এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগোর নাগরিকরা নিহত হয়েছে। পেত্রো অনেকদিন ধরেই যুক্তরাষ্ট্রের মাদকবিরোধী নীতির সমালোচক।
গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বন্ধ করল যুক্তরাজ্য : ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বাহিনীর ধারাবাহিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রতিবাদে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গোয়েন্দা তথ্য বিনিময় বন্ধ করেছে যুক্তরাজ্য। মাদকবিরোধী অভিযানের নামে হওয়া এসব হামলা আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করছে বলে এ ধরনের পদক্ষেপ নিল যুক্তরাজ্য। যুক্তরাজ্যের এই সিদ্ধান্তকে মার্কিন-ব্রিটিশ সম্পর্কের জন্য বড় পদক্ষেপ। যুক্তরাজ্যের দীর্ঘদিনের মিত্র ও প্রধান গোয়েন্দা সহযোগী যুক্তরাষ্ট্র। তাই তথ্য বিনিময় বন্ধ করার সিদ্ধান্ত তাদের সম্পর্কের ফাটল হিসেবে চিহ্নিত হচ্ছে। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএনের তথ্য মতে, বহু বছর ধরে ক্যারিবীয় দ্বীপাঞ্চলের গোয়েন্দা নেটওয়ার্কের মাধ্যমে মার্কিন কোস্টগার্ডকে মাদকবাহী সন্দেহভাজন নৌযানগুলোর অবস্থান জানিয়ে আসছিল যুক্তরাজ্য। এ রকম তথ্যের ভিত্তিতে মার্কিন বাহিনী নৌযানগুলো থামিয়ে তল্লাশি চালিয়ে ও আটক করে মাদক জব্দ করত।