৬ অক্টোবর, ২০২২ ০৮:৫৯

দুপুরে লটারির টিকিট কিনে রাতেই কোটিপতি যুবক!

অনলাইন ডেস্ক

দুপুরে লটারির টিকিট কিনে রাতেই কোটিপতি যুবক!

আনারুল শেখ

নাম তার আনারুল শেখ। লটারির নেশায় সর্বস্বান্ত হয়েছিলেন তিনি। ঘর-বাড়ি হারিয়ে পথে বসেছিলেন। আবার সেই লটারিই সব ফিরিয়ে দিল তাকে। লটারি পেয়েই রাতারাতি পথের ভিখারি থেকে কোটিপতি হলেন তিনি।

ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের চাপড়া থানায়।  আনারুল ওই এলাকার বড় আন্দুলিয়া মণ্ডলপাড়ার বাসিন্দা। দুর্গা পুজার নবমীর দুপুরে দেড় হাজার টাকার লটারির টিকিট কিনে তিনি বনে যান কোটিপতি।

কোটি টাকার লটারি জেতার খবর প্রকাশ্যে আসতেই তার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। পুজা উপলক্ষে সমস্ত সরকারি দফতর ছুটি থাকায় টিকিটটা আপাতত পুলিশ হেফাজতে রয়েছে। 

এদিকে খবর চাউর হতেই দশমীর সকালে আনারুলের বাড়িতে ভিড় জমান স্থানীয় বাসিন্দারা।

পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গেছে, আনারুল কর্মঠ। কিন্তু রাতারাতি বড়লোক হওয়ার স্বপ্নে বুঁদ হয়েছিলেন তিনি। ভাগ্য ফেরাতে লটারির টিকিট কাটা ছিল তার নেশা। সেই টিকিট কাটতে তার জমানো লাখ লাখ রুপি, দুটি অটো, একটা বাইক বিক্রি করে দেন। এমনতি, বিভিন্ন জায়গা থেকে মোটা অংকের রুপি ধারও করেছিলেন আনারুল। সেই ধার শোধ করতে নিজের বসত বাড়িও বিক্রি করে দিয়েছিলেন। পরিবার নিয়ে আনারুলকে আশ্রয় নিতে হয়েছিল কখনও মামার বাড়ি তো কখনও শ্বশুরবাড়িতে। অবশেষ ফিরল তার ভাগ্য।

আনারুলের কথায়, “কিছু দুষ্টু লোকের পাল্লায় পড়ে লটারি টিকিট কেটে জীবনের সবকিছু শেষ করে দিয়েছিলাম। এমনকি, বিদেশে কয়েক বছর কাজ করে ২৭ লাখ রুপি সঞ্চয় করেছিলাম, রাতারাতি বড়লোক হবার নেশায় লটারি টিকিট কাটতে কাটতে সমস্ত সেগুলোও শেষ হয়ে যায়। হাজার-হাজার রুপির টিকিট কেটেও কোনও দিন পুরষ্কার জিতিনি।”

তিনি আরও বলেন, “লটারির নেশায় চড়া সুদে ঋণ নিয়ে টিকিট কেটেছি। সেই ঋণ শোধ করতে গিয়ে গাড়ি-বাড়ি সমস্ত কিছু বিক্রি করতে হয়েছে। সবকিছু হারিয়ে তখন আমি পথের ভিখারি। অবশেষে পরিবার ছেড়ে ভিন রাজ্যের শ্রমিকের কাজ নিই। কয়েকদিন আগে ভিন রাজ্যে থেকে বাড়িতে এসেছেন আনারুল। নবমীর দুপুরে ভিনরাজ্যে কাজে যাওয়ার জন্য কৃষ্ণনগর স্টেশনে ট্রেনের টিকিট কেটে বাড়ি ফেরার পথে বড় আন্দুলিয়া বাসস্ট্যান্ডে বাস থেকে নেমে একটি লটারির টিকিট কাউন্টার থেকে ১৫০০ টাকার টিকিট কাটেন তিনি। রাতে মোবাইলে দেখেন, এক কোটি টাকা প্রথম পুরস্কার জিতছেন।”

নারুল বলেন, “যা গেছে তা ফিরে পাব না, কিন্তু যা হারিয়েছি তা পুনরায় ফিরিয়ে আনব। আর জীবনে কোনওদিন লটারি টিকিট কাটব না।”

স্থানীয় পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, অফিস আদালত ছুটি থাকায় আনারুলের নিরাপত্তার কারণে টিকিটটি থানার হেফাজতে রয়েছে, অফিস-আদালত খুললে তাকে ডেকে নিয়ে তার লটারির অর্থ পাওয়ার সব রকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে। সূত্র: সংবাদপ্রতিদিন, এই সময়, টিভি৯ বাংলা

বিডি প্রতিদিন/কালাম

এই বিভাগের আরও খবর

সর্বশেষ খবর