শিরোনাম
শনিবার, ২২ জুন, ২০১৩ ০০:০০ টা
বাজার দর

রমজান আসছে, লাগাম ছাড়ছে বাজার

রমজান আসার আগেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে কিছু নিত্যপণ্যের দাম। চাল, পিয়াজ, টমেটো, শসা আর বেগুনের দাম ঊধর্্বমুখী। পাইকারি বাজারগুলোতে কেজিপ্রতি চালের দাম ২ থেকে ৩ টাকা হারে বেড়েছে। মিনিকেট ৪৪ টাকা, লতা ৩৮ টাকা, নাজিরশাইল ৪৫ টাকা। পাইজাম ৫০ টাকা। চিনিগুঁড়া ১২০ টাকা। গেল সপ্তাহে পিয়াজ প্রতি কেজি ৩০ টাকা বিক্রি হলেও গতকাল ৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। শসা কেজিপ্রতি ৫ টাকা, টমেটো ১০ টাকা এবং বেগুন কেজিপ্রতি ১০ টাকা বেড়েছে। গেল সপ্তাহে প্রতি কেজি বেগুন ৫০ টাকা বিক্রি হলেও গতকাল কেজি ৬০ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। বাজারে আলু পটল ও বরবটি কাঁকরলের দাম স্থীতিশীল। তেল, ছোলা, মসুর ডাল, মুখডাল, খেশারির ডালের দাম স্থীতিশীল। ছোলা প্রতি কেজি ৬৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। মাছের দাম কেজিতে ১০ টাকা থেকে ২০ টাকা বেশি বিক্রি হচ্ছে। তবে গরুর মাংস ২৭০ থেকে ২৮০ টাকায় এবং খাসির মাংস ৪৫০ টাকা থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। প্রতিটি ইলিশ বিক্রি হচ্ছে ৫০০ টাকা দরে। তবে আকারে বড় ইলিশের দাম এক হাজার পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা গেছে।

গেল সপ্তাহে প্রতি কেজি পিয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩৪ থেকে ৩৫ টাকা। তারও আগের সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ৩০ থেকে ৩২ টাকা। সেই পিয়াজের দাম একলাফে বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ৪০ থেকে ৪২ টাকা। রমজানের আগে পিয়াজের এই চড়া দামে বিপাকে পড়েছেন সাধারণ ভোক্তারা। সিন্ডিকেটের কারণে পিয়াজের এই মূল্য বৃদ্ধি বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

গতকাল প্রতি কেজি ঢেঁড়স ৩৫ থেকে ৪০, বেগুন ৬০, টমেটো ৪০, করল্লা ৪০, পটল ৪০, ঝিঙ্গা ও চিচিঙ্গা ৪০, পেঁপে ৪০, বরবটি ৪০ টাকা, শসা ৪০ থেকে ৪৫ ও কাঁচামরিচ ৫০ থেকে ৬০ টাকায় বেচাকেনা হচ্ছে। বাসাবো বাজারের সবজি বিক্রেতা মুজিবর রহমান জানান, যাত্রাবাড়ীর পাইকারি বাজারে সবজির দাম পাল্লা প্রতি তিন চার টাকা বেড়েছে। তাই কিছুটা দাম এদিক সেদিক হচ্ছে। ছোট চিংড়ি কেজিতে গড়ে ১০০ টাকা বেড়ে ৫০০, মাঝারি চিংড়ি ৭৫০ ও বড় চিংড়ি ৯৫০ থেকে এক হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অন্যান্য মাছ কেজিতে গড়ে ২০ থেকে ৩০ টাকা বেড়েছে। ওজন ও মানভেদে ছোট রুই ২৮০ থেকে বেড়ে ৩২০, বড় রুই ৪০০ থেকে ৪৫০, ছোট কাতল ২৫০ থেকে বেড়ে ৩০০, বড় কাতল ৩৭৫ থেকে বেড়ে ৪২৫, আইর ৫৫০ থেকে বেড়ে ৬০০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। এ ছাড়া এক কুড়ি কৈ (ছোট) ২০০, মাঝারি ৩০০ ও বড় কৈ বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকায়। ইলিশ ছোট ৩০০ থেকে ৩৫০, মাঝারি ৫০০ থেকে ৬০০ ও বড় সাইজের প্রতিটি বিক্রি হয়েছে ১৪০০ থেকে ১৫০০ টাকায়। এসব ছাড়াও চিতল, কোরাল, তেলাপিয়া, পাঙ্গাশের দামও একইভাবে বেড়েছে বলে জানান খুচরা ব্যবসায়ীরা। প্রতি কেজি চীনা আদা ১০০ ও চীনা রসুন ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। আমদানি করা মাঝারি মসুর ডাল ৯৫ ও বড় মসুর ডাল ১১০ থেকে ১২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

সর্বশেষ খবর