রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

চট্টগ্রামে হোটেলে দম্পতি ঢাকায় ব্যবসায়ীর লাশ

দাম্পত্য কলহ থেকে মুক্তি পেতে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার পর স্বামী আত্মহত্যা করেছেন! হতভাগ্য ওই দম্পতিরা হলেন সাইফুল ইসলাম ও আজেদা বেগম। গতকাল সকালে নগরীর পাহাড়তলী থানাধীন অলংকার মোড়ের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

পাহাড়তলী থানার ওসি আজিজুর রহমান বলেন, দেড় বছর আগে আজেদা প্রথম স্বামীকে ডিভোর্স দিয়ে প্রেমিক সাইফুলকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এ দম্পতির মধ্যে বিবাদ লেগে থাকত। এ বিবাদের জেরে স্ত্রীকে জবাই করে হত্যার পর সাইফুল আত্মহত্যা করেছে।

নগর পুলিশের পশ্চিম জোনের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার আরেফিন জুয়েল জানান, সাইফুলের কাছ থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করা হয়েছে। তাতে লেখা আছে, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সবসময় ঝগড়া লেগে থাকত। জীবনযাপন অসহ্য হয়ে উঠায় আজেদাকে জবাই করে নিজে আত্মহত্যা করেছি।

নিহত আজেদা বেগমের মা রহিমা বেগম জানান, আজেদা একটি বেসরকারি কোম্পানিতে নিম্ন পদে চাকরি করতেন। সাইফুল নগরীতে রিকশা চালাত। সাইফুল গ্রামে একটি বাড়ি করছিল। এ জন্য অনেক টাকার দরকার ছিল। টাকার জন্য সে সবসময় আজেদাকে নির্যাতন করত। মেয়ের সুখের জন্য ছয় মাস আগে ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে সাইফুলকে ৮০ হাজার টাকা দিয়েছে। তারপরও স্ত্রী নির্যাতন বন্ধ করেনি সাইফুল। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার বিকালে স্বামী-স্ত্রী পরিচয় দিয়ে দুজন একটি কক্ষ ভাড়া নিয়েছিলেন। শনিবার সকাল পর্যন্ত তাদের কক্ষ বন্ধ থাকায় পুলিশকে খবর দেন হোটেল ম্যানেজার। পরে পুলিশ এসে দরজা ভেঙে সাইফুলকে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলানো অবস্থায় এবং আজেদাকে জবাই করা অবস্থায় উদ্ধার করে।

আবাসিক হোটেলে ব্যবসায়ীর লাশ : রাজধানীর কোতোয়ালি এলাকার একটি আবাসিক হোটেল থেকে মোহাম্মদ আসলাম (৪০) নামে এক কাপড় ব্যবসায়ীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল দুপুরে ওয়াইজ ঘাট এলাকার ৩/২ নম্বর শুভরাশ আবাসিক হোটেলের একটি কক্ষ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পুলিশ তার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠিয়েছে।

কোতোয়ালি থানার এসআই মুজিবর রহমান জানান, হোটেল কর্তৃপক্ষ দুপুরে ওই রুমের দরজা বন্ধ পেয়ে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দরজা ভেঙে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। আসলাম গত ২ দিন ধরে নিখোঁজ ছিলেন বলে পরিবার সূত্রে জানা গেছে। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ ইস্পাহানী এলাকার তার বাসা। এ ছাড়া ইসলামপুর এলাকার আশা কমপ্লেঙ্ েতার কাপড়ের দোকান ছিল। এটি আত্দহত্যা না হত্যাকাণ্ড তা তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। আসলামের বাবার নাম আবদুস সালাম। তার গ্রামের বাড়ি মুন্সীগঞ্জের গজারিয়া এলাকায়।

সর্বশেষ খবর