রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

হার দিয়েই বাংলাদেশের শুরু

হার দিয়েই বাংলাদেশের শুরু

ফুটবলপ্রেমীদের হতাশ করেছেন জাহিদ হোসেন এমিলিরা। সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের উদ্বোধনী ম্যাচে বাংলাদেশের সূচনাটা ভালো হয়নি। হেরে গেছে। কাঠমান্ডুর দশরথ স্টেডিয়ামে হেরেছে স্বাগতিক নেপালের কাছে ২-০ গোলে। সেমিফাইনালের আশা জিইয়ে রাখতে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ভারতের বিপক্ষে পরের ম্যাচে জিততেই হবে লোডডিক ক্রুইফের শিষ্যদের।

ম্যাচ শুরুর আগে বাংলাদেশের কোচ ক্রুইফ এগিয়ে রেখেছিলেন স্বাগতিক নেপালকে। যদিও গত মার্চে এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাইপর্বে এই দশরথ স্টেডিয়ামেই নেপালের বিপক্ষে ২-০ গোলে জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ। সেই অর্থে নেপাল প্রতিশোধ নিয়েছে বলা যায়। খেলার প্রথমার্ধেই দুই গোল খায় ক্রইফবাহিনী। নেপালের সাঁড়াশি আক্রমণে বাংলাদেশের রক্ষণভাগকে কখনোই স্বস্তিতে খেলতে দেখা যায়নি। উপর্যুপরি আক্রমণে বেসামাল ছিল রক্ষণভাগ। ইনজুরির জন্য গতকাল খেলেননি নিয়মিত অধিনায়ক মামুনুল ইসলাম। তার অভাবটা পরিষ্কার বোঝা গেছে মধ্যমাঠে। স্বাগতিক দল শুরু থেকেই নিয়ন্ত্রণ নিয়ে নেয় মধ্যমাঠের। ফলে একের পর আক্রমণ রচনা করে গেছে স্বাগতিক ফুটবলাররা। এর মধ্যে ১৮ মিনিটে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। ডি বঙ্রে মাথা থেকে ক্রসে অনিল গুরং হেডে পরাস্ত করেন গোলরক্ষক মামুন খানকে (১-০)। গোলসংখ্যা দ্বিগুণ হয় ৩১ মিনিটে। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে নেপালের এক ফুটবলার হেড করেন। বল ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা ভরত খাওয়াসের পায়ের লেগে জালে প্রবেশ করে (২-০)।

দুই গোলে এগিয়ে থাকার পর নেপালের আক্রমণ থেমে থাকেনি। একের পর এক আক্রমণ করে গেছে। কিন্তু গোলের দেখা পায়নি বলে গোলসংখ্যা বাড়েনি। অবশ্য কাউন্টার অ্যাটাকে মাঝে মধ্যে এক-দুইবার আক্রমণ করেছেন এমিলিরা। কিন্তু সেটা কোনো কাজেই আসেনি। গতকালের ম্যাচসহ দুই দল এখন পর্যন্ত পরস্পরের মুখোমুখি হয়েছে ১৯ বার। এর মধ্যে বাংলাদেশ জিতেছে ১১ বার এবং নেপাল জিতেছে ৬টি। ড্র হয়েছে ২টি। বাংলাদেশের ২৫ গোলের বিপক্ষে নেপাল গোল করেছে ১৩টি।

 

 

সর্বশেষ খবর