দিল্লি গণধর্ষণ কাণ্ডের মামলার প্রথম রায় শোনাল দিল্লির জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড। শনিবার আদালত এই মামলায় অভিযুক্ত ছয় অপরাধীর মধ্যে অপ্রাপ্ত বয়স্ক অপরাধী বিনয় কুমারের তিন বছরের সাজা ঘোষণা করে। বোর্ডের প্রিন্সিপাল ম্যাজিস্ট্রেট বিকাল ৩টা নাগাদ এই সাজা ঘোষণা করেন। শাস্তি হিসেবে তিন বছর তাকে সংশোধনাগারে কাটাতে হবে।
গত বছরের ১৬ ডিসেম্বর ২৩ বছরের প্যারা মেডিকেল ছাত্রীকে চলন্ত বাসে গণধর্ষণ করা হয়। জঘন্য এই কাণ্ড করেই অপরাধীরা থেমে থাকেনি। তাকে নিষ্ঠুরভাবে খুন করারও চেষ্টা হয়। টানা কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে ওই হতভাগিনী শেষ পর্যন্ত সিঙ্গাপুরের এক হাসপাতালে মারা যান। এ ঘটনায় গোটা ভারত গর্জে ওঠে। চাপে পড়ে সরকার ধর্ষণ আইন আরও কঠোর করতে বাধ্য হয়।
বিনয় কুমারের সঙ্গে এই মামলায় নাম রয়েছে আরও পাঁচ ব্যক্তির। তবে বিনয়ের বিচার জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ড করলেও একটি ফাস্ট ট্র্যাক আদালতে বাকিদের বিচার হচ্ছে। চলতি সেপ্টেম্বর মাসেই তাদেরও রায় ঘোষণা হতে পারে বলে খবর। এই ঘটনায় প্রধান অভিযুক্ত রাম সিং শুনানি চলাকালীনই গত মার্চ মাসেই তিহার জেলে বন্দী অবস্থায় আত্দহত্যা করে। শুনানি চলাকালীন বোর্ড ধর্ষিতার বন্ধু তথা এই ঘটনার একমাত্র প্রত্যক্ষদর্শী ছাড়াও ছয় জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করে।এদিন জুভেনাইল জাস্টিস বোর্ডের সামনে সাতসকাল থেকেই জড়ো হন হাজারও মানুষ। বোর্ডের বাইরে হাজির ছিলেন হতভাগ্য তরুণীর বাবা-মাও। এক বুক আশা নিয়ে তারা এসেছিলেন কন্যার নৃশংস মৃত্যুর ন্যায় বিচার পেতে। যদিও আদালতের এই রায়ে খুশি নন মৃত তরুণীর মা, কারণ অপরাধের একমাত্র সাজা হিসেবে দোষীদের ফাঁসি চেয়েছিলেন তিনি।