রবিবার, ১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

বাস টার্মিনালগুলোতে ফের সক্রিয় চাঁদাবাজরা

রাজধানীর বাস টার্মিনালগুলোতে ফের সক্রিয় হয়ে উঠেছে চিহ্নিত সন্ত্রাসী চাঁদাবাজরা। তারা ভিন্ন কৌশলে চাঁদাবাজি শুরু করেছে। তাদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছেন পরিবহন মালিক ও নিরীহ শ্রমিকরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক সময় সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল এলাকার চাঁদাবাজি ও মাদক ব্যবসা এককভাবে নিয়ন্ত্রণ করত ওই এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী মুন্না ওরফে সুইপার মুন্না। চার বছর আগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে বন্দুক যুদ্ধে সে মারা যায়। র‌্যাব ও পুলিশের কঠোর নজরদারির কারণে বেশ কয়েক বছর টার্মিনাল ঘিরে চাঁদাবাজি ও মাদকের ব্যবসা সহনীয় পর্যায়ে চলে আসে। হঠাৎ বেশ কিছু দিন ধরে ফের সেখানে মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজি শুরু হয়। প্রতিদিন ওই টার্মিনাল থেকে লাখ লাখ টাকা চাঁদাবাজি এবং মাদকের ব্যবসা চলছে। র্যাব ও পুলিশ সূত্র জানায়, সুইপার মুন্না মারা যাওয়ার পর তার দেহরক্ষী জাফর পাটোয়ারী ওরফে হৃদয় লালবাগের মনির ওরফে কিলার মনির, বাচ্চু, কালাম, সেলিম ও নীপা ওই এলাকায় চাঁদাবাজি এবং মাদকের ব্যবসা করছে বলে তাদের কাছে তথ্য আসছে। এদের বিরুদ্ধে নাসির হত্যা ও সাগর হত্যাসহ যাত্রাবাড়ী ও সবুজবাগ থানায় বহু মামলা রয়েছে।
এলাকাবাসী জানান, বাস টার্মিনাল এলাকায় অর্ধশতাধিক বাস কাউন্টার আছে। ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সিলেট, হবিগঞ্জ, চাঁদপুর কুমিল্লাসহ বিভিন্ন রুটে প্রতিদিন ১৫০০ থেকে দুই হাজার গাড়ি চলাচল করে। প্রত্যেক কাউন্টার থেকে প্রতিদিন সন্ত্রাসীরা পাঁচ থেকে ছয় হাজার টাকা করে চাঁদা আদায় করছে। কেউ চাঁদা দিতে আপত্তি করলে তাকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। দাউদকান্দি ও হোমনা রুটের গাড়ি থেকে প্রতিদিন ১৫০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করে এই সন্ত্রাসীরা। এরা ভয়ঙ্কর হওয়ায় কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস পান না।

সর্বশেষ খবর