বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

গার্মেন্টে বিশৃঙ্খলা ঘটায় কারা

গার্মেন্টে বিশৃঙ্খলা ঘটায় কারা

দেশের সবচেয়ে বড় অর্থনৈতিক খাত গার্মেন্ট সেক্টরের অরাজক পরিস্থিতি কোনোভাবেই দূর করা যাচ্ছে না। পান থেকে চুন খসলেই কারখানার কাজকর্ম ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসছেন শ্রমিকরা। শ্রমিক বিক্ষোভ শুরু হলেই সৃষ্টি হয় সহিংসতা। কারখানা ভবন ভাঙচুর, যানবাহনে আগুন ধরিয়ে দেওয়া, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলা চালানো এখন নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কী নিয়ে ঘটছে বিক্ষোভ, কেন এত অসন্তোষ, সাধারণ প্রতিবাদ বিক্ষোভকে কারা সহিংসতায় রূপ দিচ্ছে- এ নিয়ে বাংলাদেশ প্রতিদিনের অনুসন্ধানে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
ঘটনা-১. গত জুনে আশুলিয়ার একটি কারখানায় কর্মকর্তার হাতে প্রহৃত হন এক গার্মেন্ট শ্রমিক। এ নিয়ে বাদ-প্রতিবাদের একপর্যায়ে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেন শ্রমিকরা। খবর ছড়িয়ে পড়তেই আশপাশের আরও ১৫-১৬টি গার্মেন্ট থেকে একযোগে রাস্তায় নেমে শ্রমিকরা এলোপাতাড়ি ভাঙচুর শুরু করেন। সংঘর্ষ বেধে যায় পুলিশ ও র‌্যাবের সঙ্গেও। আহত হন শতাধিক। টানা তিন দিন নানা অরাজকতা শেষে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়।
ঘটনা-২. গাজীপুরের একটি গার্মেন্ট কারখানায় শ্রমিকদের আটকে রেখে বাধ্যতামূলক ডিউটি করানো হচ্ছে এমন গুজব ছড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কিছু অবহিত করার পরিবর্তে আশপাশের কয়েকটি কারখানার শ্রমিকরা জড়ো হয়ে ওই গার্মেন্ট কারখানায় বেপরোয়া হামলা চালান। কথিত আটকেপড়া শ্রমিকরা বাইরে বেরিয়ে বিক্ষোভে অংশ নেন। এবার মিছিল হয় বকেয়া পাওনা পরিশোধের দাবিতে।
ঘটনা-৩. টঙ্গীতে ঝুট ব্যবসায়ীদের সঙ্গে গার্মেন্ট শ্রমিকদের সংঘাতের ঘটনায় গুজব রটিয়ে দেওয়া হয় চার-পাঁচ জন গার্মেন্ট শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা করে লাশ ঝুটের গুদামে লুকিয়ে রাখা হয়েছে। এ খবরে বিভিন্ন গার্মেন্টের শত শত শ্রমিক পাল্টা হামলা চালান টঙ্গীর গার্মেন্ট কারখানায়, তারা বেপরোয়া ভাঙচুর করতে থাকেন। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে এগিয়ে গেলে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা তাদের ওপরও হামলা চালায়, আগ্নেয়াস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় মুহুর্মুহু বোমার বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। পুলিশ গুলি চালালে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন গার্মেন্ট শ্রমিকের করুণ মৃত্যু ঘটে। মুহূর্তেই সংঘাত-সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে গার্মেন্ট অধ্যুষিত সাভার, আশুলিয়া, কোনাবাড়ী, গাজীপুর; রাজধানীর মিরপুর, পল্লবী, বাড্ডা, রামপুরা, মালিবাগ, তেজগাঁও; নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ, রূপগঞ্জ; চট্টগ্রামের হালিশহর, বহদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায়। টানা পাঁচ দিন চলে সংঘাত-সংঘর্ষ। আহত হন পুলিশ ও সাংবাদিকসহ তিন শতাধিক গার্মেন্ট শ্রমিক।
ঘটনা-৪. গুজবের ওপর ভর করে চট্টগ্রামে সংঘটিত অরাজকতা সবাইকে ভাবিয়ে তোলে। নগরীর আগ্রাবাদে সড়ক দুর্ঘটনায় এক গার্মেন্ট শ্রমিকের মৃত্যুকে কেন্দ্র করে সকাল থেকে চলতে থাকে নানা গুজব। পুলিশ-শ্রমিক সংঘর্ষে তিনজন শ্রমিক মারা যাওয়ার গুজবের পাশাপাশি পুলিশ দুই মহিলা শ্রমিককে আটক করে জীবন বীমা ভবনে নিয়ে গেছে- এ ধরনের গুজবে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন শ্রমিকরা। এতে শ্রমিকরা এত বেশি বেপরোয়া ছিলেন যে ওই এলাকায় অবস্থিত এম্বোশিয়া রেস্টুরেন্ট, জীবন বীমা ভবনে ভাঙচুর চালান। জীবন বীমা ভবনের চতুর্থ তলায় দরজা ভেঙে কম্পিউটারসহ চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেন। এ সময় কার্যালয় বন্ধ ছিল। লোহার গেট এবং ওই অফিসের কাঠের দরজা ভেঙে সেখানে ঢুকে শ্রমিকরা আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং ফাইলপত্র তছনছ করেন। নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে, পরিস্থিতি ভয়াবহ করার জন্য গোলাবারুদ সংগ্রহ করে রাখে দুষ্কৃতিকারীরা। ব্যস্ততম শেখ মুজিব সড়ক প্রায় পাঁচ ঘণ্টা বন্ধ থাকার পাশাপাশি দুটি গাড়ি জ্বালিয়ে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পুলিশ যদি শ্রমিকদের ওপর মারমুখী আচরণ না করে পরিস্থিতি শান্ত করার দিকে নজর রাখত তাহলে এতবড় ঘটনা ঘটত না।
এ ধরনের তুচ্ছ ঘটনা আর নিছক গুজবকে কেন্দ্র করে গার্মেন্ট শ্রমিকদের মধ্যে অসন্তোষ, সংঘাত-সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, সৃষ্টি হয় অরাজক পরিস্থিতির। দেশের বিভিন্ন স্থানে শ্রমিক বিক্ষোভ, ভাঙচুর ও লুটপাটকে বরাবরই এ শিল্পের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হিসেবে দেখেন মালিকরা। এ ক্ষেত্রে বরাবরই তারা শ্রমিকদের একটি অংশকে দায়ী করে নানা নির্যাতনমূলক ঘটনার জন্ম দেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। গার্মেন্ট মালিকরা শ্রমিক অসন্তোষ দমনে সরকারি সহায়তা চাইলেই শ্রমিকদের যে কোনো আন্দোলনকে নাশকতা বলে চিহ্নিত করে অভিযানে নামে পুলিশ-র্যাব। পোশাকশিল্প ধ্বংসে নেপথ্য কারণ হিসেবে গার্মেন্ট মালিকরা সাতটি বিষয়কে চিহ্নিত করেছেন। এগুলো হলো সম্প্রতি বিদেশি বায়ারদের (ক্রেতা) বাংলাদেশমুখী হওয়া, বাংলাদেশের বাজার নষ্ট করতে বহিরাগত কোনো শক্তির ইন্ধন, উসকানিদাতা শ্রমিকদের গ্রেফতার না করা, পোশাক কারখানায় বহিরাগত সন্ত্রাসীদের অনুপ্রবেশ, ট্রেড ইউনিয়ন না থাকা, ঝুট সেক্টর দখল নিয়ে রাজনৈতিক সন্ত্রাসীদের মতবিরোধ ও শ্রমিকনেতাদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ কোন্দল।
সরকার, গার্মেন্ট মালিক ও শ্রমিকসহ সবাই গার্মেন্ট কারখানা সচল রাখতে আন্তরিক, তা সত্ত্বেও এ সেক্টরে কেন অরাজকতা ঘটছে তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। শ্রমিকদের স্বার্থের দোহাই দিয়ে কারা তাদের রাস্তায় নামিয়ে আনছে? কারা চালাচ্ছে ভাঙচুর? এক গার্মেন্ট কারখানা সুষ্ঠুভাবে সচল থাকলেও অন্য গার্মেন্টের কর্মীরা এসে হামলা চালিয়ে কেনই বা অরাজকতা ছড়িয়ে দিচ্ছেন? এ প্রসঙ্গে শ্রমিকরা প্রশ্ন তুলে বলেন, তবে কি গার্মেন্ট সেক্টরে শ্রমিক নিষ্পেষণ ঘটছেই না? যারা মুখের অন্ন জোগাড় করার জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কারখানায় কাজ করেন, মাস শেষে বেতন-ভাতা নিয়ে জীবন বাঁচান তারা কি কথায় কথায় কারখানা বন্ধ করে রাস্তায় নেমে কারখানা-দোকানপাট-গাড়ি ভাঙচুর করেন? তারা কি নিজের কাজের স্থানটি ধ্বংস করে দিতে পারেন? এ ক্ষেত্রে শ্রমিকরা তৃতীয় কোনো শক্তির নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগ তুললেও প্রশাসনে তা পাত্তা পায় না। গার্মেন্ট শিল্প সংশ্লিষ্টদের অভিযোগ- পোশাকশিল্পে সহিংসতা সৃষ্টিকারী প্রকৃত গডফাদারদের নাম-পরিচয় গোপন রাখাসহ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না বলে এ শিল্পে অস্থিরতা ও অরাজকতা বন্ধ হচ্ছে না। এর সঙ্গে রয়েছে অন্যতম আরও কিছু কারণ_ বাজার নষ্ট করতে দেশীয় এজেন্টদের মাধ্যমে বিদেশি চক্রান্ত, ঝুট ব্যবসার অব্যবস্থাপনা, শ্রমিকের সঙ্গে মালিকের সুসম্পর্কের অভাব এবং বিভিন্ন সময়ে গঠিত তদন্ত কমিটির সিদ্ধান্ত ও সুপারিশ যথাযথভাবে বাস্তবায়ন না হওয়া। পোশাকশিল্পে সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ না হওয়ার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ এ পাঁচটি কারণ চিহ্নিত করা হয়েছে। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পোশাকশিল্প মালিক ও শ্রমিক নেতাদের সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
গার্মেন্ট স্বার্থেই ১৩৭ সংগঠন?
পুলিশ ও গোয়েন্দা কর্মকর্তারা বলেন, পোশাকশ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় নানা সংগঠন গঠন করা হলেও সেগুলোর নেতৃত্বে যারা রয়েছেন তারা কোনোভাবেই এ সেক্টরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট নন। ভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নে তারা শ্রমিকদের কাজে লাগানোর চেষ্টা করেন। পোশাকশ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষার নামে ১৩৭টি সংগঠন কাজ করছে। এর মধ্যে আছে ১৭টি ফেডারেশন। অথচ ১৩৭টি সংগঠনের মধ্যে মাত্র ৪০টির নিবন্ধন রয়েছে। অন্যগুলো নিবন্ধন ছাড়াই কাজ করছে। শ্রমিক সংগঠনের ব্যানারেই কিছু ব্যক্তি অস্থিরতা তৈরিতে ভূমিকা রাখছে বলে গোয়েন্দাদের কাছে প্রাথমিক তথ্য রয়েছে। সম্প্রতি একটি গোয়েন্দা সংস্থা এ রকম ৭৭ জন নেতার একটি তালিকা করেছে। পোশাকশিল্পে চলমান অস্থিরতার নেপথ্যে তাদের ভূমিকা রয়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। গোয়েন্দা কর্মকর্তারা জানান, চিহ্নিত নেতারাই পরিকল্পিতভাবে গার্মেন্ট সেক্টরে নৈরাজ্য সৃষ্টি করেছে_ এমন তথ্য তাদের হাতে আছে। গোয়েন্দারা জানান, শ্রমিক সংগঠনের নেতা সেজে বিলাসবহুল জীবনযাপন করছেন কেউ কেউ। খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে বর্তমান পোশাকশ্রমিক নেতাদের অধিকাংশই কোনো গার্মেন্ট কারখানায় কাজ করেন না। তারা বিভিন্ন পেশায় অত্যন্ত ভালো অর্থ আয় করেন। অনেকেই অভিযোগ করেন, একজন পোশাকশ্রমিক নেতা সিনেমার নায়িকাদের মতো চুলের স্টাইল করেন, পাজেরো গাড়ি চড়ে শ্রমিক সমাবেশে বক্তৃতা দিতে যান। আরেকজন আছেন যিনি আইন পেশায় ভালো আয় করেন। কিন্তু তার মূল পরিচয় তিনি পোশাকশ্রমিক নেতা। এদিকে শ্রমিক স্বার্থের নামে ভিন্ন এজেন্ডা বাস্তবায়নের এন্তার অভিযোগ রয়েছে এ রকম সংগঠনগুলোর নেতাদের বিরুদ্ধে। কখনো গার্মেন্টে কাজ করার অভিজ্ঞতা না থাকলেও তারাই পোশাকশ্রমিকদের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। করছেন বিলাসবহুল জীবনযাপন। স্বাধীন বাংলা গার্মেন্ট শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শামীমা নাসরিন। একসময় তিনি গার্মেন্টে হেলপার পদে কাজ করতেন। কিন্তু সংগঠনের পদে আসীন হওয়ার পর তার আর্থিক অবস্থা বদলে যায়। বর্তমানে তিনি দামি 'প্রাডো' গাড়ি চড়ে বেড়ান। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি দেশও ঘুরে এসেছেন।
পোশাকশ্রমিকদের স্বার্থ রক্ষায় কাজ করছে বাংলাদেশ সেন্টার ফর ওয়ার্কার্স সলিডারিটি (বিসিডবি্লউএস) নামের একটি এনজিও। নানা অভিযোগে সরকার সংগঠনটির রেজিস্ট্রেশন বাতিল করলে দেশের বাইরে থেকেও চাপ আসে। ছাত্রদলের সাবেক এক নেতার তত্ত্বাবধানে সংগঠনটির সভাপতির দায়িত্ব পালন করছিলেন মলি আক্তার নামে একজন। গোয়েন্দারা খোঁজ নিয়ে জেনেছেন, পোশাকশিল্পের সঙ্গে মলির কখনোই কোনো সংশ্লিষ্টতা ছিল না।
গোয়েন্দাদের হাতে মদদদাতাদের তালিকা : বিভিন্ন সময়ে গার্মেন্ট সেক্টরে শ্রমিক অসন্তোষকে ঘিরে 'পরিকল্পিত নাশকতা' সৃষ্টির মদদদাতা হিসেবে ২০৯ ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। মদদদাতাদের নেপথ্যে ইন্ধনদাতা বা গডফাদার হিসেবে দায়ী করা হয়েছে আরও এক ডজন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে। এর আগে পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ, ডিবি, এনএসআইসহ চারটি গোয়েন্দা সংস্থার পৃথক প্রতিবেদনে গার্মেন্ট সেক্টরে চলমান অস্থিতিশীলতার জন্য ওই প্রভাবশালীদের দায়ী করা হয়। এর আগে মদদদাতা ও গডফাদারদের তালিকাসহ তৈরি করা গোয়েন্দা প্রতিবেদন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল সূত্রটি জানায়, কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদন নিয়ে একাধিকবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জরুরি বৈঠক করেন। গার্মেন্ট সেক্টরে পরিকল্পিত নাশকতা সৃষ্টির মদদদাতাদের গ্রেফতারের পাশাপাশি নেপথ্যের গডফাদারদের তৎপরতা নজরদারির বিশেষ নির্দেশনাও দেওয়া হয়। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এরই মধ্যে পুলিশের বিভিন্ন ইউনিট ও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে মদদদাতাদের তালিকা দেওয়া রয়েছে। পুলিশ সদর দফতর সূত্র জানায়, গার্মেন্ট সেক্টরে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি জরুরিভাবে মোকাবিলা করতে গোয়েন্দা, পুলিশ ও র্যাবের সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ ক্ষেত্রে সারা দেশের গার্মেন্ট সেক্টরকে ৬টি জোনে বিভক্ত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে দেওয়া হয়েছে বিশেষ নির্দেশনা। বিভক্ত জোনগুলো হলো ১. সাভার-আশুলিয়া ২. টঙ্গী-গাজীপুর ৩. মিরপুর-পল্লবী-কাফরুল ৪. তেজগাঁও-গুলশান-বাড্ডা-রামপুরা ৫. ফতুল্লা-সিদ্ধিরগঞ্জ-নারায়ণগঞ্জ এবং ৬. চট্টগ্রামের আগ্রাবাদ-নাছিরাবাদ।
এর পাশাপাশি দেশে গড়ে ওঠা প্রতিটি এঙ্পোর্ট প্রসেসিং জোনে স্থাপিত গার্মেন্ট কারখানাগুলোর দিকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সার্বক্ষণিক নজরদারির জন্যও পুলিশ সদর দফতর থেকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর