বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

বিএনপি এলে এক ডজন মন্ত্রী : কাদের

সর্বদলীয় সরকার গঠনের লক্ষ্যে নেপথ্যে বিরোধী দলের সঙ্গে যোগাযোগ চলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য, যোগাযোগমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বিএনপি সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিলে প্রয়োজনে তাদের এক ডজন মন্ত্রণালয় দেওয়া যেতে পারে। গতকাল সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সামনে এ মন্তব্য করেন যোগাযোগমন্ত্রী। তিনি বলেন, জাতীয় পার্টিকে ছয়-সাতটি দেওয়া হয়েছে, বিএনপিকে দিতে সমস্যা কী? প্রয়োজনে ১০ থেকে ১২টি দেব।

বিরোধী দলকে আবারও সর্বদলীয় মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার আহবান জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দল এলে ষোলকলা পূর্ণ হতো। এখনো আশা করি বিরোধী দল আসবে। সর্বদলীয় সরকার নিয়ে তিনি বলেন, যা হয়েছে দেশের ভালোর জন্যই করা হয়েছে। যোগাযোগমন্ত্রী বলেন, মাঠ পর্যায়ের বিএনপি নেতা-কর্মীরা নির্বাচন চান। এ ব্যাপারে সাড়া না দিলে বিএনপির রাজনৈতিক অস্তিত্ব হুমকির মুখে পড়বে বলেও মনে করেন তিনি। সাংবাদিকরা যোগাযোগমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানালে তিনি বলেন, সর্বদলীয় সরকারে আমি আছি কি না তা এখনো জানি না। কে থাকছেন আর কে থাকছেন না তা সন্ধ্যার মধ্যে পরিষ্কার হয়ে যাবে।

ড. হাছান মাহমুদ : নিজ মন্ত্রণালয়ে পরিবেশ ও বন মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিসহ ১৮-দলীয় জোট থেকে কেউ কেউ সর্বদলীয় সরকারে অংশ নিলে আশ্চর্য হওয়ার কিছু নেই। গতকাল সচিবালয়ে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত উইলিয়াম হানার সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান। ড. হাছান মাহমুদ বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে আলোচনার আহবান এখনো অব্যাহত রয়েছে।

জি এম কাদের : প্রধানমন্ত্রীর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার পর গতকাল প্রথমবারের মতো নিজ মন্ত্রণালয়ে অফিস করেছেন বাণিজ্যমন্ত্রী জি এম কাদের। সাংবাদিকদের সঙ্গেও কথা বলেছেন তিনি। জাতীয় পার্টির নির্বাচনে অংশ নেওয়ার যৌক্তিকতা তুলে ধরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, জ্বালাও-পোড়াও আর ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড থেকে জাতিকে রক্ষার তাগিদ থেকেই তার দল নির্বাচনকালীন সরকারে যোগ দিয়েছে। একই কারণে তারা নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন বলেও জানান তিনি। জি এম কাদের বলেন, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনে সহায়তা করাই হবে আমাদের কাজ। তবে এ ক্ষেত্রে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হলে, অথবা নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে কোনো সংশয় দেখতে পেলে তার দল নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবে বলেও জানান তিনি। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রবিষয়ক মার্কিন সহকারী মন্ত্রী নিশা দেশাইয়ের সঙ্গে বৈঠকের বিষয়ে জি এম কাদের বলেন, জিএসপি পুনর্বহালের লক্ষ্যে সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ১৬টি শর্তের অগ্রগতি তুলে ধরে যে অবস্থানপত্র পাঠানো হয়েছে সে সম্পর্কে অবহিত করা হয়েছে মার্কিন সহকারী পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে।

এ ব্যাপারে নিশা দেশাই সন্তোষ প্রকাশ করেছেন বলেও জানান বাণিজ্যমন্ত্রী। ডিসেম্বরে জিএসপি পুনবর্হালের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র ইতিবাচক মনোভাব দেখাবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এদিকে ২৫ নভেম্বর দুই দেশের মধ্যে আলোচিত টিকফা চুক্তি সইয়ের কথা জানিয়ে জি এম কাদের বলেন, এ চুক্তির পর পরই দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহায়তা ফোরাম গঠন হবে।

 

 

সর্বশেষ খবর