শিরোনাম
বুধবার, ২০ নভেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

সীতাকুণ্ডে নাশকতা প্রতিরোধে কঠোর কর্মসূচি

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সীতাকুণ্ড ও মীরসরাই এলাকায় নাশকতাকারীদের ঠেকাতে প্রশাসন বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে সর্বোচ্চ ব্যবস্থা নিতেও বলা হয়েছে। তিন দফায় ১০ দিনের হরতালে এ সড়কে নাশকতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ পদক্ষেপ নিতে শুরু করেছে সরকার।

আজ বুধবার ও বৃহস্পতিবার পরিবহন ধর্মঘট স্থগিত করার লক্ষ্যে গতকাল দুপুরে জেলা প্রশাসন কার্যালয়ে সভায় প্রশাসন এ সিদ্ধান্ত নেয়। নাশকতা ঠেকাতে প্রয়োজনে সীতাকুণ্ডে বিজিবি ও র্যাবের ক্যাম্প করার কথাও বলা হয়। সভায় জেলা প্রশাসক আবদুল মান্নান বলেন, সীতাকুণ্ডের ৫৩ কিলোমিটার সড়ক নিয়ে সরকার উদ্বিগ্ন। নাশকতাকারীদের মূল টার্গেট এখন মানুষ এবং যানবাহন। সারা দেশ থেকে জামায়াত-শিবির লোকজন জড়ো করে রাষ্ট্রবিরোধী তৎপরতায় লিপ্ত হচ্ছে। আমরা মনে করি এ নাশকতা সরকারের বিরুদ্ধে নয়, রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে। নাশকতাকারীদের ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে বিশেষ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক দেশের লাইফ লাইন। এটি বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে দুর্বৃত্তরা। নাশকতায় সম্পৃক্তদের তালিকা তৈরি করা শুরু হয়েছে। তালিকা মতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এদিকে সোমবার গভীর রাতে পুলিশের সঙ্গে জামায়াত-শিবির কর্মীদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় জামায়াত-শিবিরের সাত কর্মীকে আটক করেছে বিজিবি ও পুলিশ। এরা সবাই আমিরাবাদ গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গাড়িতে অগি্নসংযোগ ও ভাঙচুরের ঘটনা মামলার আসামি ধরতে রাত ২টায় পুলিশ ও বিজিবির একটি দল আমিরাবাদ গ্রামে যায়। জামায়াত-শিবিরের কর্মীরা গাছ ফেলে সড়ক অবরোধ করে পুলিশকে বাধা দেয়। পুলিশ সড়ক সচল করার জন্য গাড়ি থেকে নামলে জামায়াত-শিবির কর্মীরা গুলি ছোড়ে। পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে কয়েক রাউন্ড টিয়ার শেল ও রাবার বুলেট ছোড়ে।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি এস এম বদিউজ্জামান বলেন, আমিরাবাদে অভিযানে জামায়াতের সঙ্গে পুলিশের গোলাগুলি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ সাতজনকে আটক করে।

সর্বশেষ খবর