মঙ্গলবার, ৩ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার

ইউসুফের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ

ইউসুফের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ

মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল এটিএম আজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের আদেশ পুনর্বিবেচনার (রিভিউ) আবেদনের শুনানির দিন পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। ৫ ডিসেম্বর এ বিষয়ে শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। গতকাল বিচারপতি এটিএম ফজলে কবীরের নেতৃত্বাধীন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এ আদেশ দেন। আসামি পক্ষ সময়ের আবেদন করে। এ ছাড়া আজহারের সঙ্গে জেলগেটে দেখা করতে চেয়ে তার আইনজীবীদের আবেদন খারিজ করা হয়েছে। রবিবার আসামি পক্ষ পুনর্বিবেচনার এ আবেদন করে। এর আগে ১২ নভেম্বর আজহারের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ গঠন করেন ট্রাইব্যুনাল। ৫ ডিসেম্বর তার বিরুদ্ধে প্রসিকিউশনের উদ্বোধনী বক্তব্য উপস্থাপনের দিন ধার্য রয়েছে। আজহারের বিরুদ্ধে গণহত্যা, হত্যা, লুণ্ঠন, ধর্ষণ, নির্যাতন, আটক, অপহরণ, জখম ও অগি্নসংযোগের বিভিন্ন অভিযোগ আনা হয়েছে। ২৯ আগস্ট ও ৩ সেপ্টেম্বর অভিযোগ গঠনের পক্ষে প্রসিকিউশনের শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। ২৪ সেপ্টেম্বর ও ১০ অক্টোবর অভিযোগ গঠনের বিপক্ষে শুনানি করে আসামি পক্ষ। ২৫ জুলাই আজহারের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। গত বছরের ২২ আগস্ট আজহার গ্রেফতার হন। এরপর থেকে তিনি কারাগারে।

ইউসুফের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ : মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির আবুল কালাম মোহাম্মদ ইউসুফের বিরুদ্ধে বাবুল মিস্ত্রির জবানবন্দি গ্রহণ করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনাল-২ প্রসিকিউশনের এ ১৪তম সাক্ষীর জবানবন্দি গ্রহণ করেন। পরে সাক্ষীকে জেরা করেন আইনজীবী গাজী এম এইচ তামীম। এ মামলার কার্যক্রম আজ পর্যন্ত মুলতবি করা হয়েছে। জবানবন্দিতে বাগেরহাটের রামপালের অধিবাসী বাবুল মিস্ত্রি বলেন, ১৯৭১ সালের ১৯ এপ্রিল ডাকরায় সংঘটিত গণহত্যায় ৫০০-৭০০ লোককে হত্যা করা হয়। শহীদদের মধ্যে আমার মামা কার্তিক হালদারও ছিলেন। বাবার কাছে শুনেছি, ইউসুফের নির্দেশেই এ ঘটনা সংঘটিত হয়েছে।

 

 

সর্বশেষ খবর