সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা

আজ পতাকা নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার দিন

আজ পতাকা নিয়ে বিশ্ব রেকর্ড গড়ার দিন

এবার এক ব্যতিক্রমী বিজয় দিবস উদযাপন করতে যাচ্ছে রাজধানীবাসী। কারণ বিজয়ের দিনে বাঙালি জাতি অর্জন করতে যাচ্ছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় মানব পতাকা তৈরির খ্যাতি। আর তা যদি সম্ভব হয় তবে '৭১-এর পর আবারও ২০১৩ সালে এসে পাকিস্তানকে হারিয়ে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে সবচেয়ে বড় মানব পতাকা তৈরির রেকর্ড করবে বাংলাদেশ। এর আগে গত বছর পাকিস্তানের পাঞ্জাবে ২৪ হাজার ২০০ তরুণ-তরুণীর অংশগ্রহণে মানব পতাকা তৈরি করা হয়। এবার ১৬ ডিসেম্বর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ৩০ হাজারের বেশি মানুষের অংশগ্রহণে তৈরি হবে সবচেয়ে বড় মানব পতাকা। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি বিবেচনায় এবার জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে কুচকাওয়াজ অনুষ্ঠিত হচ্ছে না। তবে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর উদ্যোগে রবির সহযোগিতায় 'লাল সবুজের বিশ্বজয়' শীর্ষক সবচেয়ে বড় মানব পতাকা তৈরির বিশ্ব রেকর্ডের অনুষ্ঠানই হতে যাচ্ছে বিজয় দিবসে রাজধানীর সবচেয়ে বড় আকর্ষণ। অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সকাল ১০টায়। এতে দেশবরেণ্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। তবে মানব পতাকা তৈরির মূল অনুষ্ঠান শুরু হবে দুপুর ১২টার পর। ধারণা করা হচ্ছে, পতাকা তৈরির জন্য আগ্রহী অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে অধিকাংশই হবেন বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। মানব পতাকা তৈরির পুরো বিষয়টি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের একজন পর্যবেক্ষক প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত থেকে দেখবেন এবং পতাকা তৈরি শেষে প্রয়োজনীয় প্রমাণপত্র ও ছবি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড কমিটির কাছে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য পাঠাবেন। উপর থেকে মানব পতাকার ছবি তুলতে ব্যবহার করা হবে হেলিকপ্টার। গিনেস ক্রাইটেরিয়া অনুযায়ী মানুষের অংশগ্রহণে এ পতাকা তৈরি হচ্ছে বলে একে 'মানব পতাকা' বলা হচ্ছে। অনুষ্ঠানে মানব পতাকা তৈরিতে অংশগ্রহণকারীরা তাদের মাথার ওপর প্লাকার্ড তুলে এ পতাকা তৈরি করবেন। এ ছাড়া জাতীয় পতাকা বিধি মেনেই এ পতাকা তৈরি করা হবে। পতাকার রং নির্বাচন করেছেন শিল্পী মোস্তফা মনোয়ার। জানা যায়, প্রবেশ গেটে অংশগ্রহণকারীদের টিকিটে থাকা বার কোড স্ক্যান করে মোট অংশগ্রহণকারীর সংখ্যা নির্ধারিত হবে। অন্যদিকে এ গৌরবময় উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী ৫টি মিডিয়া পার্টনারের মধ্যে বাংলাদেশ প্রতিদিন একটি। বিজয় দিবসে অনুষ্ঠানটি চ্যানেল আইতে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। রবির দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, এ আয়োজনের জন্য রবি প্রতিরক্ষা ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে অনুমতি নিয়েছে। এ ছাড়া মানব পতাকা তৈরিতে ব্যবহারের জন্য প্লাকার্ড ইতোমধ্যে প্রিন্ট করা হয়েছে। প্যারেড গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয়েছে চূড়ান্ত মহড়া। আগ্রহী দর্শকরা রবি কাস্টমার কেয়ার থেকে এ অনুষ্ঠানের জন্য বিনা মূল্যে টিকিট সংগ্রহ করতে পারবেন। এ ছাড়া টিকিট অনুষ্ঠান স্থলে প্রবেশ গেটেই পাওয়া যাবে। পুরো প্যারেড গ্রাউন্ডের নিরাপত্তায় বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পাশাপাশি, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনী বিজিবি, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা উপস্থিত থাকবেন। এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর নবম পদাতিক ডিভিশন কমান্ডার মেজর জেনারেল চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী বলেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মানব পতাকা তৈরির মাধ্যমে বিশ্বের কাছে আমাদের জাতীয় ঐক্য দেখাতে চাই। রবির হেড অব ব্র্যান্ড খন্দকার আশরাফ বলেন, অনেক দিন ধরেই এ ধরনের একটি ব্যতিক্রমী কাজ করার ইচ্ছা ছিল। আশা করছি বিজয় দিবসে দেশপ্রেমিক সব মানুষ নিজ উৎসাহে প্যারেড গ্রাউন্ডে উপস্থিত হবেন।

 

 

সর্বশেষ খবর