সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভার বৈঠক

সহিংসতা মোকাবিলায় জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত

চলমান রাজনৈতিক সহিংসতার বিরুদ্ধে জনমানুষকে আরও বেশি করে সম্পৃক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ জন্য মাঠপর্যায়ে জনপ্রতিনিধিদের ব্যাপকভাবে কাজ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতির জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও কঠোর হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি গণমাধ্যমকে আরও ইতিবাচক ভূমিকা রাখার পরামর্শ দেওয়ার জন্য তথ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের কেউ অসহযোগিতা করলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। গতকাল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নির্বাচনকালীন সরকারের আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে বৈঠক সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে। সাধারণত এ ধরনের বৈঠকের পর সংবাদমাধ্যমকে ব্রিফিং করে সভার সিদ্ধান্ত জানানো হয়ে থাকে। কিন্তু প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলা গতকালের বৈঠকের পর সেখানে সরকারের কোনো মন্ত্রীই কোনো বক্তব্য সংবাদমাধ্যমকে দেননি। ভূমি এবং ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা মন্ত্রী আমির হোসেন আমুর সভাপতিত্বে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিল্প এবং গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, শ্রমমন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন, পাটমন্ত্রী আবদুল লতিফ সিদ্দিকী, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ডাক, তার ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, পানিসম্পদ মন্ত্রী আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকু ও আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। সূত্র জানায়, বৈঠকে রাজনৈতিক সহিংসতা মোকাবিলায় জনমানুষের সম্পৃক্ততা আরও ব্যাপকভাবে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এ জন্য স্থানীয় সরকার সচিবকে কিছু নির্দেশনাও দেওয়া হয়। এর মধ্যে ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বার, পৌর মেয়র ও কমিশনার, উপজেলা চেয়ারম্যান এবং জেলা পরিষদের প্রশাসকদের আরও জনসম্পৃক্ততা বাড়ানোর জন্য মাঠ পর্যায়ে কাজ করতে নির্দেশ দিতে বলা হয়েছে। জনপ্রতিনিধিদের কারও বিরুদ্ধে অসহযোগিতার অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। সূত্র আরও জানায়, সভায় উপস্থাপিত গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী বর্তমানে দেশের ১০টি জেলায় জামায়াত-শিবির সহিংসতা চালাচ্ছে। এসব জেলার ক্ষেত্রে বিশেষ নজর দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে। সাম্প্রতিক সময়ে চলমান সহিংসতার খবর সংবাদমাধ্যমে যেভাবে প্রচার হচ্ছে তা যেন সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি না করে সেজন্য তথ্য মন্ত্রণালয়কে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শামসুল হক টুকুর বাড়িতে বোমা হামলা ও সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূরের গাড়িবহরে হামলা চালিয়ে তার কর্মী-সমর্থককে হত্যার ঘটনা নিয়েও আলোচনা হয়। এসব ঘটনায় জড়িত অপরাধীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

সর্বশেষ খবর