সোমবার, ১৬ ডিসেম্বর, ২০১৩ ০০:০০ টা
অষ্টম কলাম

নাটোরের লালপুরে জামায়াত-আওয়ামী লীগের সমঝোতা

আওয়ামী লীগ ও জামায়াতে ইসলামীর একটি সমঝোতা বৈঠক থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক মাস্টারের মধ্যস্থতায় গতকাল লালপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত হয়। তিন ঘণ্টাব্যাপী এ বৈঠকে আজকের পর থেকেসারা দেশে যাই ঘটুক না কেন লালপুর উপজেলায় আওয়ামী লীগ-জামায়াত ভাই ভাই এর মতো বসবাস করবে বলে সিদ্ধান্ত হয়। নিজ নিজ দলের কর্মসূচি শান্তিপূর্ণভাবে পালন করার পাশাপাশি কোনো প্রকার অপ্রীতিকর বা সহিংস ঘটনা ঘটবে না বলে অঙ্গীকার করে দুই দল। এ ছাড়া সড়ক অবরোধ, সরকারি গাছ কাটা এবং সহিংস ঘটনা থেকে বিরত থেকে প্রশাসনের অনুমতি সাপেক্ষে নিজ নিজ দল কর্মসূচি পালন করবে বলে অঙ্গীকার করে। এদিকে জামায়াত-আওয়ামী লীগের সমঝোতা বৈঠকের বিষয়টি উপজেলায় টক অব দ্য টাউনে পরিণত হয়। বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফতাব হোসেন ঝুলফু, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ইমরান হোসেন, তায়েজ আলী এবং জামায়াতের পক্ষ থেকে শূরা সদস্য অধ্যাপক তাসনীম আলমের প্রতিনিধি অধ্যাপক আবদুল ওহাব, উপজেলা জামায়াতের আমির মজিবর রহমান, সেক্রেটারি আবুল কালাম, শিবির সভাপতি হামিদুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমিরুল ইসলাম, লালপুর থানার ওসি মতিউর রহমানও উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য, ১২ ডিসেম্বর জামায়াত নেতা আবদুল কাদের মোল্লার ফাঁসির রায়ের প্রতিবাদে জামায়াত নেতা-কর্মীরা মিছিল বের করলে বিলমাড়িয়া বাজারে আওয়ামী লীগ জামায়াত কর্মীদের মারপিট করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে জামায়াত কর্মীরা বিলমাড়িয়া চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মিজানুর রহমান মিন্টুর বাসভবন দুই দিন ঘেরাও করে রাখে এবং আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও বাসভবনে ভাঙচুর করে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগ-জামায়াতের ১০ নেতা-কর্মী আহত হয়। এ ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতারা জামায়াতের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে। এ ব্যাপারে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট আবুল কালাম আজাদ জানান, শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জামায়াতের ৫ জন করে প্রতিনিধি নিয়ে সমঝোতা বৈঠকের ব্যবস্থা করি। কিন্তু আমি উপস্থিত ছিলাম না।

 

 

সর্বশেষ খবর