শনিবার, ২৯ নভেম্বর, ২০১৪ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

ঠাকুরগাঁওয়ে আগাম আলু চাষ

ঠাকুরগাঁওয়ে আগাম আলু চাষ

আগাম আলু উৎপাদনের সূতিকাগার ঠাকুরগাঁও জেলায় নতুন আলু বাজারজাতকরণের ধুম পড়েছে গত কয়েকদিন থেকেই। সর্বপ্রথম এ জেলার কৃষকদের কাছ থেকেই আলু কিনে ব্যবসায়ীরা দেশের বিভিন্ন স্থানে নিয়ে যেতে শুরু করেছেন। আলু রোপণের ৫৫ দিনের মাথায় নতুন আলু বাজারে উঠল। জমি থেকেই ব্যবসায়ীরা পাইকারি ৫০ টাকা কেজি দরে আলু কিনছেন।
সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সদর উপজেলার চিলারং, শিবগঞ্জ, মোহাম্মদপুর ও নারগুণ এলাকায় শত শত নারী-পুরুষ-শিশু নির্বিশেষে জমি থেকে নতুন আলু তোলার আনন্দে বিভোর। কৃষকরা জানান, আগাম আলু উৎপাদনে তাদের কোনো কিছুরই সংকট মোকাবিলা করতে হয়নি। হাত বাড়ালেই সব মিলেছে। প্রতি বছর এই সদর উপজেলায় ১০ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হয়ে থাকে। আর এখানকার আগাম আলু সর্বপ্রথম দেশের মানুষের মুখে ওঠে। সাড়ে ৭ হাজার টাকা খরচ করে ১২ শতক জমিতে আগাম আলু চাষ করেছেন সদর উপজেলার উত্তর ঠাকুরগাঁও গ্রামের ক্ষুদ্র কৃষক শামসুল হক। তিনি এই জমির আলু বিক্রি করে পেয়েছেন সাড়ে ১৭ হাজার টাকা। ৫৫ দিনের ব্যবধানে তার আলু চাষে লাভ হলো সাড়ে ১০ হাজার টাকা। বেজায় খুশি তিনি। সদর উপজেলার চিলারং গ্রামের আলু চাষি সাদেক আলী জানান, এবার আবহাওয়া অনুকূল, বীজের দাম কম ও প্রয়োজনীয় সারের সরবরাহও ছিল স্বাভাবিক। গত বার আলু উৎপাদনে তার লোকসান গুনতে হয়েছিল অবরোধ আর লাগাতার হরতালের কারণে। যারা জমি থেকেই নতুন আলু কিনছেন তাদের মধ্যে ঢাকার কারওয়ানবাজার থেকে আসা আলু ব্যবসায়ী হায়দার আলী জানান, প্রতি বছরের মতো এবারও তিনি আগাম আলুর বাজার ধরতে ঠাকুরগাঁওয়ে এসেছেন। ৪৫-৫০ টাকা কেজি দরে ২০ বিঘা জমির আলু কিনেছেন তিনি। চট্টগ্রাম লালখান বাজারের আলুর আড়তদার শরিফুল আলম জানান, তার টার্গেট ১০০ বিঘা জমির আলু কেনা। ইতিমধ্যে ৪৬ টাকা কেজি দরে ৫০ বিঘা জমির আলু কিনেছেন তিনি। ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ভূপেশ কুমার মণ্ডল বলেন, সবচেয়ে বেশি আগাম জাতের আলু চাষ হয় ঠাকুরগাঁওয়ে। যা এবারও আলু রোপণের ৫৫ দিনের মাথায় বাজারে উঠে এলো।

 

সর্বশেষ খবর