কাতার সফর থেকে ফিরে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, বিশ্বকাপ ফুটবল-২০২২ উপলক্ষে এক থেকে দেড় লাখ শ্রমিক কাতারে যাওয়ার সুযোগ পাবে। ইতিমধ্যে কাতার ৫০ হাজার কর্মীর ভিসা দিয়েছে। তারা আগামী ২-৩ মাসের মধ্যে যাবে। শ্রমিকদের খরচ বহন করবেন নিয়োগকর্তারা। গতকাল প্রবাসীকল্যাণ ভবনে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন মন্ত্রী। পাঁচ দিনের কাতার সফরে প্রবাসীকল্যাণ মন্ত্রী কাতারের শ্রমমন্ত্রী ড. আবদুল্লাহ সালেহ মোবারক আল খুলাইফিসহ দেশটির সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে জনশক্তি আমদানি খাতের কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সফরের বিষয়ে জানাতে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে মন্ত্রী বলেন, সাধারণত কাতারের রিক্রুটিং এজেন্সি আমাদের রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে লোক নিত। একজন কর্মীর কাতারে যেতে ৩-৪ লাখ টাকা খরচ হতো। এখন তা হবে না। কারণ কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে কোনো মধ্যস্থতাকারী থাকবে না। কাতারের রিক্রুটিং এজেন্সি দূতাবাসের মাধ্যমে আমাদের ডিমান্ড লেটার পাঠাবে, আমরা তা রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোকে দিয়ে দেব। এতে ভিসা ট্রেডিংয়ের সুযোগ থাকবে না। আমাদের ডাটাবেজ থেকে ডিমান্ড লেটারের তিনগুণ কর্মীর তালিকা রিক্রুটিং এজেন্সিকে দেওয়া হবে। সেখান থেকে তারা কর্মী বাছাই করে কাতারে পাঠাবে। তিনি বলেন, আগে কাতার সরকার কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে নেপাল, ভারত, ফিলিপাইনকে গুরুত্ব দিত। তবে এখন থেকে কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশকে গুরুত্ব দেবে। সংবাদ সম্মেলনে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান সচিব খন্দকার ইফতেখার হায়দার, বিএমইটির মহাপরিচালক শামসুন্নাহার বেগম উপস্থিত ছিলেন।