প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বিএনপি মানেই ধ্বংস এবং জাতির জন্য যন্ত্রণা। আওয়ামী লীগ দেশ ও জাতির কল্যাণ করে, আর বিএনপি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করে। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়া সরকার পতনের জন্য ঘর ছেড়ে কার্যালয়ে বসে তিন মাস আন্দোলনের নামে পেট্রলবোমায় পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করলেন। কিন্তু ব্যর্থতার গ্লানি নিয়ে ঘরে ফিরে গেছেন। আমি দেশবাসীকে বলব- বিএনপি নেত্রী যখন আবার ঘর থেকে বেরোবেন, রাস্তায় নামবেন তখন তার কাছে জবাব চাইবেন পেট্রলবোমা দিয়ে মানুষ হত্যা করে তিনি কী পেলেন?
গতকাল বিকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে ঢাকা-চট্টগ্রাম রেলওয়ের লাকসাম থেকে চিনকি আস্তানা পর্যন্ত ৬১ কিলোমিটার নবনির্মিত ডাবল লাইনের ট্রেন সার্ভিস উদ্বোধনকালে তিনি এ কথা বলেন।
বক্তব্য শুরুর আগে বিকাল ৫টা ৩৫ মিনিটে ডাবল লাইনের ট্রেন সার্ভিসের উদ্বোধন ছাড়াও চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন ইয়ার্ড রি-মডেলিং কাজের উদ্বোধন, লাকসাম থেকে আখাউড়া পর্যন্ত ডুয়েল গেজ ডাবল রেললাইন নির্মাণ এবং বিদ্যমান রেললাইনকে ডুয়েল গেজে রূপান্তর কাজের ভিত্তিপ্রস্তরও স্থাপন করেন তিনি।
লাকসাম রেলওয়ে জংশনে এ উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- পরিকল্পনামন্ত্রী আ ফ ম মুস্তফা কামাল, রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, কুমিল্লা-৯ আসনের সংসদ সদস্য তাজুল ইসলাম, কুমিল্লা জেলা পরিষদের প্রশাসক ওমর ফারুক, জেলা প্রশাসক (ডিসি) হাসানুজ্জামান কল্লোল ও পুলিশ সুপার (এসপি) টুটুল চক্রবর্তী, ডাবল লাইনের জাইকা প্রতিনিধি তাকাসিয়া বাচ্চু প্রমুখ। শেখ হাসিনা বলেন, আন্দোলনের নামে মানুষ পুড়িয়ে বিএনপি নেত্রী কী পেয়েছে? আওয়ামী লীগ সরকার উৎখাত না করে তিনি নাকি ঘরে ফিরবেন না। বাসা ছেড়ে ৬৫ জন মানুষ নিয়ে একটা অফিসে ৯২ দিন বসে থাকলেন। কী করতে পারলেন তিনি। তিনি শুধু মানুষকে পুড়িয়ে হত্যা করতে পেরেছেন। শেখ হাসিনা বলেন, বিগত তিনটি মাস দুঃস্বপ্নের মধ্য দিয়ে গেছে সবার। সে দুঃস্বপ্ন কেটে গেছে। এখন আবার উন্নয়ন অব্যাহত থাকবে। কারা দেশের কল্যাণ চায় আর কারা তা চায় না এ বিষয়ে আমি সবাইকে সচেতন হওয়ার কথা বলব। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ভূতের পা পেছনে যায় বলে কথিত আছে। বিএনপিও আমাদের উন্নয়নকে এভাবে পেছনে নিয়ে যায়। স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশের উন্নয়ন চায় না। আমরা দেশের মানুষকে খাদ্য দিচ্ছি, বিদ্যুৎ দিচ্ছি, নিরাপত্তা দিচ্ছি। তারা মানুষকে আগুনে-পেট্রলবোমায় পুড়ে মারছে। মানুষ পুড়িয়ে হত্যা করা, মানুষের ওপর অত্যাচার করা, দেশের সম্পদ ধ্বংস করাই বিএনপি জোটের কাজ।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য মিয়ানমার-চীন-ভারতের সঙ্গে রেললাইন করা হবে। বরিশালকেও রেল যোগাযোগের আওতায় আনা হবে।