রবিবার, ১৯ এপ্রিল, ২০১৫ ০০:০০ টা

শাহীন সামাদের সংগীত জীবনের ৫০ বছর

শাহীন সামাদের সংগীত জীবনের ৫০ বছর

‘মুক্তির গান’-এর শিল্পী হিসেবে ১৯৭১ সালে গানের ফেরিওয়ালা হয়ে ঘুরেছেন শরণার্থী শিবির থেকে রণাঙ্গন পর্যন্ত। গানে গানে সাহস জুগিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা আর সাধারণ মানুষকে। গানের এই পাখি শাহীন সামাদ সংগীতজীবনের ৫০ বছর পার করেছেন। সংগীতপ্রেমীরা নজরুল সংগীতশিল্পী হিসেবে চিনলেও তার সবচেয়ে বড় পরিচয় তিনি ১৯৭১-এর কণ্ঠসৈনিক। সংগীতের জীবন্ত এই কিংবদন্তির ৫০ বছরের সংগীত ক্যারিয়ার উপলক্ষে ‘আমরা সূর্যমুখী’র আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে বিশেষ সংগীত সন্ধ্যা। গতকাল সন্ধ্যায় জাতীয় জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে শিল্পী তার সুরলহরী দিয়ে মুগ্ধ করেন ভক্ত ও অনুরাগীদের। মঞ্চে ওঠার সঙ্গে সঙ্গেই উপস্থিত দর্শক-শ্রোতারা তাকে দাঁড়িয়ে সম্মান প্রদর্শন করেন। এরপর বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে শিল্পীকে ফুলেল শ্রদ্ধা জানানো হয়। পরে তিনি সুরের বন্যায় ভাসিয়ে দেন সমগ্র মিলনায়তনের দর্শক শ্রোতাদের। শাহীন সামাদ রাগ বৈরভীর ওপর ‘পোহালো পোহালো নিশি খেলো গো আঁখি’ গানটি দিয়ে তার পরিবেশনা শুরু করেন। এরপর তিনি পরিবেশন করেন ‘আমি ভাই খ্যাপা বাউল’ গানটি। তারপর একে একে পরিবেশন করেন ‘স্বপনে এসেছিল মৃদুভাষিণী’, ‘একবার গালভরা মা ডাকি’, ‘তুমরে কারণ সব কুছ ছোড়া’ ‘জোছনা করেছে আঁড়ি’ মিলিয়ে বেশকিছু গান। এর আগে অনুষ্ঠিত আলোচনায় প্রধান অতিথি ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী। ব্যারিস্টার আমীর-উল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন বঙ্গবন্ধুর সহকারী প্রেস সচিব কাইয়ুম রেজা চৌধুরী, সাবেক প্রতিমন্ত্রী আবুল হাসান চৌধুরী, নাট্যজন রামেন্দু মজুমদার, বঙ্গবন্ধু মহিলা পরিষদের সভাপতি ডা. খালেদা বেগম, ‘আমরা সূর্যমুখী’র সমন্বয়ক সম্পাদক শফিকুল ইসলাম সেলিম প্রমুখ। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. গওহর রিজভী বলেন, ‘শাহীন সামাদের সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিচয়ের আগে তাকে চিনেছি রেডিওতে তার গান শুনে। তার গান মুক্তিযুদ্ধে অবিস্মরণীয় অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।’ নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে শাহীন সামাদ বলেন, ‘দীর্ঘ এই চলার পথে মানুষের ভালোবাসা পেয়েছি অনেক। স্মরণ করছি ছায়ানটকে। খুব ছোটবেলা থেকেই ছায়ানটের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। আমার এতদূর পথ আসার পেছনে ছায়ানটের অবদান অনেক।’

সর্বশেষ খবর