শুক্রবার, ২২ মে, ২০১৫ ০০:০০ টা
তিন সিটি নির্বাচনে অনিয়ম

পুলিশের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ল ইসি

পুলিশের ওপর ক্ষোভ ঝাড়ল ইসি

মাগুরা-১ আসনের উপনির্বাচনকে সামনে রেখে আয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক বৈঠকে গতকাল নির্বাচন কমিশনাররা সদ্য সমাপ্ত তিন সিটি নির্বাচনে বিভিন্ন অনিয়ম ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বিভিন্ন অনিয়মের ঘটনা তুলে ধরে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে কঠোর সমালোচনা করেন। সকাল ১১টায় ইসি সচিবালয়ে এ বৈঠক শুরু হয় এবং চলে দুপুর দেড়টা পর্যন্ত। শুরুতে ১ ঘণ্টা মাগুরা নির্বাচনের আইনশৃঙ্খলা নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তারা বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। তারা ইসির চাহিদার চেয়ে বেশি সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েনের কথা জানান। এ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন নির্বাচন কমিশনাররা। তারা বলেন, বেশি সদস্য দিয়ে লাভ কী? সেইসঙ্গে শুরু হয় তিন সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের আলোচনা। পরে দেড় ঘণ্টাব্যাপী শুধু তিন সিটি নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়ম তুলে ধরেন প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্য চার কমিশনার।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির নির্বাচনের সময় ব্যালটে সিল মারার বর্ণনা দিয়ে এক নির্বাচন কমিশনার বলেন, সুরিটোলা ভোটকেন্দ্রের উপর তলায় ব্যালটে সিলমারা হয়েছে, আর নিচে পুলিশ নিষ্ক্রিয় অবস্থায় ছিল। কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমারা শুধু বিব্রত নই, লজ্জায় পড়েছি। বৈঠক সূত্র জানিয়েছে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকর্তাদের উপস্থিতে নির্বাচনের বিভিন্ন অনিয়ম নিয়ে চুলচেরা বিশ্লেষণ করেন নির্বাচন কমিশনারা। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে বলা হয়, তিন সিটি নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কর্মকাণ্ডে ইসির মাথা নিচু হয়ে গেছে। সিইসি বলেন, পুলিশের কাছে অস্ত্র থাকে। আর তাদের সামনে ব্যালটে সিল মারা হয়। আপনারা গুলি করে উড়িয়ে দিলেন না কেন? অপর এক নির্বাচন কমিশনার বলেন, আগের রাতেই ব্যালটে সিল মারা হলো। এতে শুধু আমরা বিব্রত নই, লজ্জাবোধ করছি।

মাগুরা-১ আসনের নির্বাচন নিয়ে এক নির্বাচন কমিশনার বলেন, মাগুরার নির্বাচন অনেক স্পর্শকাতর নির্বাচন। এর আগে এই নির্বাচন নিয়ে অনেক কিছু ঘটেছে। এবারে এ নির্বাচন নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। এক নির্বাচন কমিশনার পুলিশের অপারগতার বিষয়ে এ সময় বলেন, রাজনৈতিক নেতাদের কথা শুনতে অনেক সময় পুলিশ বাধ্য হয়। না শুনলে তাকে বদলি করা হয়। পরে বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) জাবেদ আলী বলেন, বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা যা বলার বলেছি।

 

সর্বশেষ খবর