বৃহস্পতিবার, ১৬ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা
সাতক্ষীরা

সোনালীর দুই প্রহরীকে গলা কেটে হত্যা, লুটের চেষ্টা

সাতক্ষীরার কলারোয়া সোনালী ব্যাংকের দুই প্রহরীকে জবাই করে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে সন্ত্রাসীরা। ব্যাংকের ভিতরে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ব্যাংক ম্যানেজারের দাব, গভীর রাতে ডাকাতির উদ্দেশ্যে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে। নিহত দুই প্রহরীর নাম জাহাঙ্গীর হোসেন ও আসাদ বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারা আনসার সদস্য হিসেবে কর্মরত ছিলেন সোনালী ব্যাংকে।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, গভীর রাতে সন্ত্রাসীরা ব্যাংকের ভিতর ঢুকে পাহারায় থাকা দুই প্রহরীকে হত্যা করেছে। ব্যাংকের গেট ভাঙা অথবা তালা ভাঙার কোনো চিহ্ন মেলেনি। ব্যাংকের কোনো টাকাও খোয়া যায়নি। ব্যাংকের  ভিতরে কাগজপত্র ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় পাওয়া গেছে। কলারোয়া থানার সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) মোয়াজ্জেম হোসেন জানান, জবাই করা লাশ দুটি ব্যাংকের সিঁড়িতে পড়েছিল। সন্ত্রাসীদের চিনে ফেলায় ধস্তাধস্তির পর তারা ব্যাংক লুট করতে না পেরে তাদের জবাই করেছে বলে তার ধারণা। পুলিশ ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। নিহত জাহাঙ্গীর (৩২) কলারোয়া উপজেলার ঝাঁপাঘাট গ্রামের কায়েম হোসেনের ছেলে। অন্যদিকে আসাদ (২৫) সাতক্ষীরা সদর উপজেলার হরিশপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে। সাতক্ষীরা সোনালী ব্যাংকের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শহিদুল ইসলাম জানান, ডাকাতির সময় ব্যাংকের দুই প্রহরীকে কুপিয়ে ও জবাই করে হত্যা করা হয়েছে। ব্যাংকের সব আসবাব ও কাগজপত্র তছনছ করা হয়েছে। টাকা নেওয়ার জন্য ব্যাংকের ভল্ট ভাঙার চেষ্টা করেছে। কিন্তু তারা কোনো টাকা নিতে পারেনি। আমাদের ধারণা ব্যাংক লুটের উদ্দেশে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ডাকাতরা প্রথমে ব্যাংকের ভিতরে প্রবেশ করে। বাধা দিতে গেলে তারা খুনের শিকার হন।
এদিকে এ খুনের ঘটনার সংবাদ শোনার পরপরই সকাল ১১টার দিকে সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার চৌধুরী মঞ্জুরুল কবির পিপিএম ও সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মীর মোদাচ্ছের হোসেন ঘটনাস্থল থেকে জানান, হত্যার কারণ এখনো জানা যায়নি। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

সর্বশেষ খবর