মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

জাপায় পালাবদল অন্তর্মুখী জামায়াত

সুনামগঞ্জে সরকারের শরিক জাতীয় পার্টির নিয়ন্ত্রণ এখন সদর আসনের এমপি পীর ফজলুর রহমান মিসবাহর হাতে। দলের ভিতর সাবেক সভাপতি ও সাবেক এমপি আবদুল মজিদ এবং তার অনুসারীদের প্রভাব-প্রতিপত্তি এখন প্রায় শূন্যের কোঠায়। যুবলীগ থেকে জাপায় যোগ দেওয়ার মধ্য দিয়েই সদর আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি হন পীর মিসবাহ। এর পর থেকে কমতে থাকে মজিদের প্রভাব। দলীয় মনোনয়নের আশায় শুরুতেই পাবলিক প্রসিকিউটরের পদ থেকে পদত্যাগ করলেও স্বপদে আর ফিরতে পারেননি মজিদ। পরে জেলা সভাপতির পদও হারান তিনি। দলীয় সূত্র জানায়, সাবেক মন্ত্রী মেজর ইকবাল হোসেনের মৃত্যুর পর সুনামগঞ্জে আস্তে আস্তে কমতে থাকে জাপার প্রভাব। নেতা-কর্মীদের বেশির ভাগ নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন। অনেকেই পাড়ি দেন আওয়ামী লীগ নাহয় বিএনপিতে। সদর আসন বাদে দলটির এই মন্দাভাব জেলাজুড়ে। তবে সদর ও বিশ্বম্ভরপুর উপজেলায় ক্ষমতা ঘিরে অনেকটাই উজ্জীবিত জাতীয় পার্টি। সুনামগঞ্জ-৪ আসনের এমপি ও জেলা জাপার আহ্বায়ক পীর ফজলুর রহমান মিসবাহ বলেন, ১০ জুন জেলা জাপার সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর পার্টি চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ অসুস্থ হয়ে পড়ায় সেটি স্থগিত করা হয়। এখন সব উপজেলা সম্মেলন করার পর জেলা সম্মেলন করা হবে। তার দাবি, বর্তমানে জাতীয় পার্টিতে কোনো কোন্দল নেই। নেতা-কর্মীরা ঐক্যবদ্ধ এবং তাদের মনোবল চাঙ্গা। এদিকে ২০-দলীয় জোটের অন্যতম শরিক জামায়াত জোটের রাজনৈতিক বিপর্যয়ের পর অন্তর্মুখী হয়ে পড়ে। সভা, সমাবেশ ও রাজপথের কর্মসূচি পালন করতে খুব একটা দেখা যায় না তাদের। যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ ও সরকারের কঠোর আচরণে কৌশলী জামায়াত তলে তলে দল গোছানোর কাজ করছে বলে জানিয়েছে একাধিক সূত্র। তবে সীমান্তবর্তী দুই-তিনটি উপজেলা বাদে এমনিতেই জেলায় সাংগঠনিকভাবে দুর্বল জামায়াত। সুনামগঞ্জে একসময় বামপন্থিদের শক্তিশালী অবস্থান থাকলেও এখন নেতানির্ভর হয়ে পড়েছে দলগুলো। সুশীল সমাজের আবরণে আর মানববন্ধননির্ভর কর্মকাণ্ডে সীমাবদ্ধ এখন তাদের রাজনীতি।

সর্বশেষ খবর