মঙ্গলবার, ২৮ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

কক্সবাজারে পাহাড় ধস, দুই পরিবারের পাঁচজনের মৃত্যু

কক্সবাজার শহরের দক্ষিণ বাহারছড়া এলাকায় পাহাড় ধসে মাটিচাপা পড়ে মা-মেয়েসহ পাঁচজনের মৃত্যু হয়েছে। রবিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। কক্সবাজার ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন কর্মকর্তা আবদুল মজিদ জানান, পাহাড় ধসে চারটি বসতবাড়ি মাটিচাপা পড়ে হতাহতের ঘটনা ঘটে। তাদের তিনটি ইউনিট এবং সেনাবাহিনীর একটি দলসহ স্থানীয়রা দুর্ঘটনার পর থেকে গতকাল সকাল ৮টা পর্যন্ত সমন্বিতভাবে উদ্ধার কাজ চালিয়েছে। দুর্ঘটনায় নিহতরা হলেন- স্থানীয় খায়রুল আমিনের স্ত্রী জুনু বেগম (২৮), তাদের মেয়ে নীহা মনি (৭), ইসলাম মিয়ার ছেলে শাহ আলম (৪৫), শাহ আলমের স্ত্রী রোকেয়া বেগম (২৫) ও জাফর আলমের মেয়ে রিনা আকতার (১৬)। এ ঘটনায় চারজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। তারা হলেন- স্থানীয় জহিরুল হকের মেয়ে শারমিন আকতার (২০), খাইরুল আমিনের ছেলে মোহাম্মদ আয়াত (১২), জাফর আলমের ছেলে  মোহাম্মদ শেফায়েত (২০) ও জাকের হোসেনের ছেলে নুর নবী (২৮)। প্রশাসন ও বন বিভাগের দায়িত্বে অবহেলায় বার বার এমনটি হচ্ছে বলে মনে করছেন স্থানীয় সুশীল সমাজ। আমাদের রাঙামাটি প্রতিনিধি জানান, টানা বর্ষণে রাঙামাটি শহরের পাবলিক হেল্থ, কাপ্তাই, রাজস্থলী, বরকল, বাঘাইছড়ি, জুরাছড়ি, বিলাইছড়ি এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধসের ঘটনা ঘটেছে। বর্ষণে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম এবং রাঙামাটি-মহালছড়ি-খাগড়াছড়ি ও রাঙামাটি-কাপ্তাই সড়কে যানবাহন চলাচলে বিঘœ ঘটছে। সড়কের ওপর পাহাড়ের মাটি ধসে পড়ায় গাড়ি চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের আশপাশের এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে পাহাড় ধস হচ্ছে।
এ পর্যন্ত জেলার কোথাও প্রাণহানির ঘটনা না ঘটলেও সংশ্লিষ্ট জনগোষ্ঠী ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতির মুখোমুখি অবস্থায় আছে। অনেকে নিরাপদ স্থানে সরে যাচ্ছে।
রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করে এসব জনগোষ্ঠীকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলা হচ্ছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসন পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস লোকজনকে নিরাপদে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে।

সর্বশেষ খবর