বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

রাঙামাটির পাহাড়ে নানামুখী রাজনীতি

দল গোছাতে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী কেন হেরেছিলেন, তার মূল্যায়ন চলছে রাঙামাটির আওয়ামী লীগে। পাশাপাশি চলছে দলকে নতুনভাবে গুছিয়ে তোলার কাজ।
ওই নির্বাচনে রাঙামাটি আসনে দলীয় প্রার্থী ও সাবেক এমপি দীপংকর তালুকদার জনসংহতি সমিতি সমর্থিত স্বতন্ত্র প্রার্থী ঊষাতন তালুকদারের কাছে হেরে যান। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, হারার কারণগুলো চিহ্নিত করছেন জেলা আওয়ামী লীগ নেতারা। তাদের মূল্যায়ন অনুযায়ী, বিভিন্ন কারণে হেরে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এ কারণগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো- প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে নগণ্য ভেবে খালি মাঠে গোল দেওয়ার আশা করা, বিভিন্ন উপজেলায় সাংগঠনিক দুর্বলতা, কতিপয় নেতা-কর্মীর বিশ্বাসঘাতকতা, দায়িত্বে অবহেলা, ভিতরে ভিতরে প্রতিপক্ষের সঙ্গে হাত মেলানো, কাজ না করে টাকা আত্মসাৎ করা, অনেক নেতা-কর্মীর বেপরোয়াভাবে সরকারি সুবিধার ফায়দা লোটা, টেন্ডারবাজি করা ইত্যাদি। এ ছাড়া দলের অনেক দক্ষ, ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা-কর্মীকে অবমূল্যায়ন ও উপেক্ষা করে চলাও নির্বাচনে হেরে যাওয়ার অন্যতম কারণ। সূত্র বলছে, ওই হেরে যাওয়ার ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এখন নড়েচড়ে বসছে রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ। বসে নেই নেতা-কর্মীরা। তাদের লক্ষ্য, আগামী নির্বাচনে যেন আর পরাজয় না ঘটে। দলকে সুসংহত ও শক্তিশালী করে রাঙামাটির আসনটি পুনরুদ্ধার করাই হবে প্রধান কাজ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীপংকর তালুকদার নিজেও এখন মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন। প্রতিটি উপজেলায় গণসংযোগ করছেন। জেলা আওয়ামী লীগের দুই সদস্যের কার্যনির্বাহী কমিটি থাকলেও সাবেক কমিটির সদস্য এবং যুবলীগ, ছাত্রলীগসহ সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নিয়ে তিনি সফর ও জনসংযোগ করছেন। সক্রিয় হয়েছেন রাঙামাটির মহিলা এমপি ফিরোজা বেগম চিনু ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মুছা মাতব্বরসহ দলের সিনিয়র নেতারাও।
প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ৮ ডিসেম্বর রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ ত্রিবার্ষিক কাউন্সিল হয়েছিল। তখন দীপংকর তালুকদার সভাপতি পুনর্নির্বাচিত হয়েছিলেন। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন সাবেক সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মুছা মাতব্বর। কিন্তু এরপর আড়াই বছরে আর পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। এ অবস্থায় রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ চলছে দুই সদস্যবিশিষ্ট কমিটি দিয়ে। এ ব্যাপারে জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি ডা. আশুতোষ বড়ুয়া জানান, তিনি কেন্দ্রীয় দফতর থেকে যতদূর জেনেছেন তাতে মনে হয় এ পর্যন্ত কেন্দ্রে অনুমোদনের জন্য কোনো কমিটি জমা দেওয়া হয়নি। যার ফলে কেন্দ্র পূর্ণাঙ্গ জেলা কমিটি অনুমোদন দিতে পারেনি। গত সম্মেলনের মেয়াদ এখন শেষের দিকে। কাজেই নতুন কমিটি অনুমোদনের সময়-সুযোগ আর নেই। এখন কমিটি করতে হলে প্রয়োজন বিশেষ কাউন্সিল অনুষ্ঠান বা আহ্বায়ক কমিটি গঠন করে নতুন কাউন্সিল করা। সেটা করার জন্য কাজ চলছে।

সর্বশেষ খবর