বৃহস্পতিবার, ৩০ জুলাই, ২০১৫ ০০:০০ টা

গুডসহিলে জাদুঘর চান চট্টগ্রামবাসী

নির্যাতনের স্মৃতিচিহ্ন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে চট্টগ্রামের রহমতগঞ্জে আলোচিত সেই গুডসহিল। চট্টগ্রামের জল্লাদখানা হিসেবে পরিচিত গুডসহিলের কথা শুনলে এখনো অজানা শঙ্কায় আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন নির্যাতিতদের অনেকেই। মহান স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় শান্তি কমিটির চেয়ারম্যান ফজলুল কাদের (ফকা) চৌধুরী ও সালাউদ্দিন কাদের (সাকা) চৌধুরীর গুডসহিল এবার অধিগ্রহণের দাবি উঠেছে মুক্তিযোদ্ধা, নির্যাতিত ব্যক্তি ও জনসাধারণের পক্ষ থেকে। তাদের দাবি- রাষ্ট্রের উচিত বাঙালি নির্যাতন কেন্দ্র গুডসহিল নিজেদের দখলে নেওয়া। ওখানে একটি মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা। সে জাদুঘর নতুন প্রজন্মের সন্তানরা পরিদর্শন করবে। তারা দেখবে সাকা ও তাদের পরিবারের টর্চার সেল। তাতেই মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস জানবে আগামী প্রজন্ম। সেক্টর কমান্ডার্স ফোরামের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সদস্যসচিব বেদারুল আলম বেদার বলেন, একাত্তরের ঘাতকদের নির্যাতনের স্মৃতি ধরে রাখতে গুডসহিলকে অধিগ্রহণ করে তা সংরক্ষণ করা প্রয়োজন। এখানে একটা নির্যাতনের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা প্রয়োজন। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে সাকা বাহিনীর হাতে নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন ম. সলিমুল্লাহ উল্লাহ। গুডসহিলে নির্যাতনের বর্ণনা দিয়ে তিনি বলেন, ফকা ও সাকার লোকজন অসহায় বাঙালি ও মুক্তিযোদ্ধাদের এনে অমানুষিক নির্যাতন করত। তারা নির্যাতনের পর উৎসব করত। ফকা ও সাকার নির্যাতন সেল সংরক্ষণ সরকারকেই করতে হবে। প্রজন্ম-৭১-এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি ড. গাজী সালাহ উদ্দিন বলেন, জার্মানি নাৎসি বাহিনীর টর্চার সেলগুলো সংরক্ষণ করে রেখেছে। এ টর্চার সেলগুলোয় নতুন প্রজন্ম গিয়ে নাৎসি বাহিনীর নির্যাতন অনুধাবন করে। জার্মানির মতো বাংলাদেশেও নির্যাতন কেন্দ্রগুলো সংরক্ষণ করা প্রয়োজন।

মুক্তিযুদ্ধের সময় রাজাকারদের হাতে নির্যাতনের শিকার মুক্তিযোদ্ধা সাইফুদ্দীন খানের স্ত্রী নুরজাহান বেগম বলেন, রাজাকার সাকা চৌধুরীর যতগুলো নির্যাতন সেল রয়েছে সবই সংরক্ষণ করতে হবে। এ নির্যাতন সেলগুলোয় ঘৃণা জানাবে আগামীর প্রজন্ম।

সর্বশেষ খবর