বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

গতি নেই চুয়াডাঙ্গার রাজনীতিতে

আওয়ামী লীগে নিষ্ক্রিয় ত্যাগীরা

এক যুগ আগের কমিটি দিয়েই চলছে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগ। দীর্ঘদিন সম্মেলন না হওয়ায় জেলা নেতৃত্বে শিথিলতা দেখা যাচ্ছে বলে মনে করছেন অনেক নেতা-কর্মী। দিন দিন দূরত্বও বাড়ছে নেতা-কর্মীদের মাঝে। পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করছেন জেলার দুই মেরুর কর্মী-সমর্থকরা। চুয়াডাঙ্গা জেলার দুটি আসনেই টানা দুবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে আছেন আওয়ামী লীগের দুজন প্রার্থী। কিন্তু তাদের মতভেদের কারণে নেতা-কর্মীরা দুই ভাগে বিভক্ত। ২০০৪ সালের ১৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। এক যুগ আগের কমিটি দিয়েই চলছে জেলা আওয়ামী লীগ। মাস তিনেক আগে জেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন অনুষ্ঠানের বিষয়ে ব্যাপক আলোচনা শোনা যাচ্ছিল। কিন্তু হঠাৎ করেই তাও ঝিমিয়ে পড়ে। ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চুয়াডাঙ্গার দুটি আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন (চুয়াডাঙ্গা-১) ও আলী আজগার টগর (চুয়াডাঙ্গা-২) বিজয়ী হন। এরপর থেকেই শুরু হয় দলীয় মতভেদ। দুই সংসদ সদস্যের মধ্যে বাড়তে থাকে দূরত্ব। দলে নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েন অনেক ত্যাগী নেতা। ২০১৪ সালেও নিজ নিজ আসনে পুনর্নির্বাচিত হন সোলায়মান হক জোয়ার্দার ছেলুন ও আলী আজগার টগর। এরপর তাদের মধ্যে দূরত্ব আরও বেড়ে যায়। বর্তমানে চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগে সুবিধাবাদীদের কদর বেশি বলে মনে করছেন দলের একাধিক সিনিয়র নেতা। জেলা সদরে বড় ধরনের কোন্দল না থাকলেও বাকি তিনটি উপজেলাতে অনেক ত্যাগী নেতা রয়েছেন মূল স্রোতের বাইরে। আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আলমডাঙ্গা, দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলায় অনেক প্রবীণ নেতা দলের মূল স্রোত থেকে নিজেদের গুটিয়ে রেখেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আওয়ামী লীগের এক নেতা বলেন, ‘দল ভালো আছে, আমরা ভালো নেই। দল ক্ষমতায় এলে সুবিধা নিতে কিছু মৌসুমি লোকের আবির্ভাব হয়। এখনো তা-ই হয়েছে। আগামীতে জেলা আওয়ামী লীগকে এর মাশুল দিতে হবে।’

সর্বশেষ খবর