বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

মামলা-গ্রেফতার আতঙ্কে বিএনপি

মামলা আর ধরপাকড়ের ভয়ে দিশাহারা চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপি। বর্তমানে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অনেকটাই নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে দলটি। সেই সঙ্গে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা হয়ে আছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল। একাধিক গ্রুপ হওয়ায় দলে এখন নিজেরাই নিজেদের প্রতিপক্ষ। ২০১৪ সালের ২৭ এপ্রিল আগের বিতর্কিত কমিটি ভেঙে আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি। এতে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা শামসুজ্জামান দুদুর প্রতিপক্ষ হিসেবে পরিচিতি অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস আহ্বায়ক মনোনীত হন। অন্যতম যুগ্ম আহ্বায়ক করা হয় দুদুর ভাই ওয়াহেদুজ্জামান বুলাকে। এ পরিস্থিতিতে চার ভাগে বিভক্ত বিএনপিকে একত্রিত করার চেষ্টা করা হলেও দুটি গ্রুপের মধ্যে বিভেদ থেকেই যায়। ২০০৯ সালে হাজী মোজাম্মেল হকের বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে বসে জেলা বিএনপির কমিটি গঠন করা হয়। এর পরপরই অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস গ্রুপ আলাদাভাবে কমিটি গঠন করে। সেই থেকে উভয় কমিটিই নিজেদের বৈধ বলে দাবি করে আসছিল। এভাবে চার বছর চলার পর ২০১৩ সালের দিকে চুয়াডাঙ্গা শহরে বিএনপির আরও দুটি কার্যালয় চোখে পড়ে। এর একটির নেতৃত্বে জেলা বিএনপি নেতা সৈয়দ কামরুজ্জামান, অপরটির নেতা জাহাঙ্গীর আলম। একপর্যায়ে গত বছরের ২৭ এপ্রিল কেন্দ্রের হস্তক্ষেপে গঠিত হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি। ২০১৪ সালের নির্বাচনের পর কেন্দ্রীয় বিএনপির সব আন্দোলন সংগ্রামে বিএনপির দুটি গ্রুপ আলাদাভাবে কর্মসূচি পালন করে আসছিল। ২০১৫ সালের শুরুতে আন্দোলন চলাকালে সারা দেশের মতো চুয়াডাঙ্গাতেও বিএনপি নেতা-কর্মীদের ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। এতে বিএনপির শতাধিত নেতা-কর্মী আটক হন। একপর্যায়ে ২৪ জানুয়ারি আটক হন জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অহিদুল ইসলাম বিশ্বাস। থেমে যায় চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির আন্দোলন-সংগ্রাম। অবশ্য এর আগেই দলের অনেক নেতা-কর্মী জেল-জুলুমের ভয়ে আত্মগোপনে চলে যান। সঠিক নেতৃত্বের অভাবেই বর্তমানে সাধারণ নেতা-কর্মীদের মধ্যে হতাশা কাজ করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিএনপি কর্মী বলেন, ‘দলের সিনিয়র নেতাদের নিষ্ক্রিয়তার কারণে আমরা দিকভ্রান্ত। তারপরও তরুণ নেতারা দলকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।’

সর্বশেষ খবর