শিরোনাম
বৃহস্পতিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৫ ০০:০০ টা

চুপচাপ জাতীয় পার্টি নিখোঁজ জামায়াত

সরকারের অন্যতম অংশীদার সংসদের বিরোধী দল জাতীয় পার্টির চুয়াডাঙ্গা জেলার রাজনীতি অনেকটাই নিষ্ক্রিয়। অন্যদিকে যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে গ্রেফতার আতঙ্কে প্রকাশ্য রাজনীতিতে কম দেখা গেলেও ভিতরে ভিতরে অনেকটাই সক্রিয় চুয়াডাঙ্গা জেলা জামায়াত।
যুদ্ধাপরাধ ইস্যু সামনে আসার পর থেকেই চুয়াডাঙ্গায় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা গ্রামাঞ্চলে নিজেদের কর্মকাণ্ড বাড়িয়ে দিয়েছেন। একদিকে প্রত্যন্ত অঞ্চলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ স্থাপনসহ তাদের নানা কর্মসূচিতে ব্যস্ত রাখছেন, অন্যদিকে নারী সদস্যদের দিয়ে কৌশলে শহর, গ্রাম, পাড়া-মহল্লায় কর্মসূচি জোরদার করেছেন। জেলার বেশকিছু এলাকায় রয়েছে জামায়াতের শক্ত অবস্থান। এর মধ্যে দামুড়হুদা ও জীবননগর উপজেলায় কিছু অংশে রয়েছে জামায়াতের অনেক সক্রিয় নেতা-কর্মী। জামায়াতের নারী সদস্যরা শহর ও গ্রামের বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গিয়ে সাধারণ নারীদের মাঝে ধর্মীয় অনুভূতিকে ব্যবহার করে জামায়াতের গুণগান করছেন। জামায়াতে ইসলামী কৌশলে গ্রামাঞ্চলের নিরীহ অসহায় মানুষদের সাহায্য-সহযোগিতার মাধ্যমে তাদের মনে জায়গা করে নিচ্ছে। এতে সফলতাও আসছে। ২০০৮ সালে প্রথম সরকার গঠন করার পর রাজনীতির মাঠে আওয়ামী লীগের অন্য শরিক দলগুলোর মতো জাতীয় পার্টিকেও একসঙ্গে দেখা যায়নি। সরকারি দলের অবজ্ঞা-অবহেলা আর কেন্দ্রের দিকনির্দেশনার অভাবে চুয়াডাঙ্গায় নিষ্ক্রিয় হয়ে পড়েছে জাতীয় পার্টি। ভেঙে পড়েছে মনোবল। স্থানীয় অনেক নেতা-কর্মীর মতে, জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি অ্যাডভোকেট সোহরাব হোসেনের নিষ্ক্রিয়তাও এর অন্যতম কারণ। জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় রাজনীতি এলোমেলো হওয়ায় অনেকটা অভিমান করেই তিনি নিজেকে গুটিয়ে রেখেছেন বলে দলসংশ্লিষ্ট অনেকের মত। অন্যদিকে চুয়াডাঙ্গা জেলায় জাতীয় পার্টির সাংগঠনিক ভিত্তি শক্ত নয়, এ অবস্থায়ও ভিতরে ভিতরে আছে কোন্দল।

সর্বশেষ খবর