বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

নভেরা আহমেদের প্রদর্শনী

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

নভেরা আহমেদের প্রদর্শনী

আধুনিক ভাস্কর্য শিল্পের অন্যতম শিল্পী প্রয়াত নভেরা আহমেদের শিল্পকর্ম নিয়ে জাতীয় জাদুঘরে শুরু হলো প্রদর্শনী। শিল্পীর ৩৪টি ভাস্কর্য দিয়ে সাজানো হয়েছে একক এই প্রদর্শনী। ভাস্কর্যের পাশাপাশি প্রদর্শনীতে স্থান পেয়েছে শিল্পীর আঁকা বেশ কয়েকটি চিত্রের অনুকৃতি। এর মধ্যে মুনলিট-১৯৭৮, দ্য বার্ডস সারপেন্ট-১৯৮৪, সোল অব দ্য ফ্যানটম-১৯৭৩, স্পিরিট রিভার-১৯৭৩, স্পেস-১৯৭০ উল্লেখযোগ্য। গতকাল বিকালে জাদুঘরের নলিনীকান্ত ভট্টাশালী গ্যালারিতে ১৩ দিনব্যাপী এ প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। জাদুঘরের বোর্ড অব ট্রাস্টির সভাপতি এম আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, জাদুঘরের মহাপরিচালক ফয়জুল লতিফ চৌধুরী। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান লালারূখ সেলিম।

সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা নভেরার শিল্পকর্মকে সংগ্রহ করার জন্য আশাবাদ ব্যক্ত করেন। সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী শহীদ মিনার তৈরিতে নভেরার অবদান নিয়ে কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘শহীদ মিনারের নাম এলেই নভেরার ছবি ভেসে ওঠে। নভেরার নাম সঙ্গত কারণেই কোনো দিন মুছে যাবে না।’

বাংলাদেশে (তৎকালীন ব্রিটিশ ভারত) জন্ম নেওয়া এই নারী ভারতীয় উপমহাদেশের ভাস্কর্য শিল্পে আধুনিকতম নারী। বাংলাদেশের জাতীয় শহীদ মিনারের নকশা প্রণয়নে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। স্বাধীনতার পর তিনি প্যারিসে চলে যান। গত ৪৫ বছর তিনি সেখানে কাটান। এ সময়ের মধ্যে তিনি একবারও দেশে আসেননি। আসেননি শিল্পকর্মের স্বীকৃতি চাইতেও। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে একুশে পদক প্রদান করলেও তিনি সেই সম্মান নিতে আসেননি। চলতি বছরেরই ৬ মে তিনি না ফেরার দেশে চলে যান। তার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতেই এ প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর