বৃহস্পতিবার, ৮ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
লিটনের লোকদের চোটপাট

‘আনন্দ র‌্যালি’ করতে দেয়নি পুলিশ

গাইবান্ধা প্রতিনিধি

চ্যাম্পিয়নস অব দ্য আর্থ পুরস্কার অর্জন এবং একটি শিশুর ওপর সুন্দরগঞ্জের এমপি লিটনের গুলিবর্ষণ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানাতে সুন্দরগঞ্জের সন্ত্রাস ও নাশকতা প্রতিরোধ কমিটিকে পুলিশ গতকাল ‘আনন্দ র‌্যালি’ করতে দেয়নি। র‌্যালি করতে বামনডাঙ্গা রেলস্টেশন এলাকায় দুপুরে লোকজন জড়ো  হতে শুরু করেন। কিন্তু তাদের কর্মসূচি ভণ্ডুল করতে স্টেশনের পূর্ব পাশে               এমপি লিটনের অফিস এলাকায় লিটনের লোকজন অস্ত্র ও লাঠিসোঁটাসহ একত্রিত হয় বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ পরিস্থিতিতে পুলিশি বাধায় আনন্দ র‌্যালি কর্মসূচি ভণ্ডুল হয়ে যায়। আয়োজক কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বিষ্ণুরাম দাস জানান, এমপির লোকেরা বামনডাঙ্গা এলাকায় মোটরসাইকেলে করে অস্ত্রসহ মহড়া ও আমাদের হুমকি দিয়েছে। রেলস্টেশন, খাবার হোটেল, টি-স্টল ও রাস্তাঘাটে তারা মহড়া দিয়ে ভীতি সৃষ্টি করে। তারা উচ্চৈঃস্বরে বলে, এমপি লিটনের কিছুই হবে না। প্রকাশ্যে এসে এমপি তার বিরোধীদের শায়েস্তা করবেন। আরও জানান, ওরা মঙ্গলবার রাতেই আমাদের আনন্দ র‌্যালি ভণ্ডুল করবে বলে ঘোষণা দেয়। এর আগে সন্ধ্যায় প্রচারের মাইকও বন্ধ করে দেয় পুলিশ। সুন্দরগঞ্জ থানার ওসি ইসরাইল হোসেন বাধা দেওয়ার অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, এই থানাটি মূলত জামায়াত-শিবির অধ্যুষিত এলাকা। তাই মিছিল মিটিং সমাবেশকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের মধ্যে দুটি গ্রুপ ছাড়াও জামায়াত-শিবির চক্র তাতে জড়িয়ে পড়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে পারে- এমন আশঙ্কা করেই সব পক্ষকে মিছিল মিটিং বা সহিংস কোনো কর্মসূচি থেকে বিরত থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। এদিকে লিটনের সংসদ সদস্য পদ বাতিল, তাকে গ্রেফতার এবং তার দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মঙ্গলবার থেকে সুন্দরগঞ্জের বঙ্গবন্ধু চত্বরে পৌর নাগরিক সংগ্রাম পরিষদ, আওয়ামী লীগের একাংশ ও স্থানীয় জনতার উদ্যোগে গণস্বাক্ষর কর্মসূচি শুরু হয়। কিন্তু উদ্যোক্তারা জানান, মঙ্গলবার রাতে বঙ্গবন্ধু চত্বর থেকে গণস্বাক্ষরিত কাপড়ের ব্যানারগুলো কে বা কারা সরিয়ে নিয়ে গেছে। ফলে ওই কর্মসূচি বন্ধ হয়ে গেছে।

সর্বশেষ খবর