সোমবার, ১৯ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনাল

চট্টগ্রাম বন্দরে নতুন গতি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম

নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) আনুষ্ঠানিক যাত্রার কারণে চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজে পণ্য ওঠানামায় নতুন গতি সঞ্চার হয়েছে। পুরোদমে কাজ শুরু না হলেও বন্দরের সামগ্রিক কাজের ক্ষেত্রে বহুল আলোচিত এ টার্মিনাল ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে।  শনিবার বিকাল সাড়ে ৪টায় নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান কর্তৃক এনসিটির উদ্বোধন-পরবর্তী ২৪ ঘণ্টায় সন্তোষজনক কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে বলে জানান বন্দর-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও কর্মকর্তারা। বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বিকাল ৫টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় এনসিটির ২ নম্বর জেটিতে হ্যান্ডলিং হয়েছে ৫৩৪ টিইইউএস কনটেইনার। একইভাবে ৩ নম্বর জেটিতে ৩১৪ এবং ৫ নম্বর জেটিতে ২৮৬ টিইইউএস কনটেইনারসহ মোট এক হাজার ১৩৪ টিইইউএন কনটেইনার হ্যান্ডলিং হয়েছে। বন্দরের সদস্য (প্রশাসন) মো. জাফর আলম জানান, প্রাথমিক অবস্থায় এখনো কিছুটা সীমাবদ্ধতা রয়েছে। এর পরও যে গতিতে কনটেইনার হ্যান্ডলিং চলছে তা সন্তোষজনক। পুরোপুরি ইকুইপমেন্ট স্থাপিত না হওয়ায় এনসিটির ৪ নম্বর জেটিতে তেমন কাজ হয়নি। প্রসঙ্গত, চট্টগ্রাম বন্দরে জাহাজে কনটেইনার ওঠানো ও পণ্যভর্তি কনটেইনার নামানোর সবচেয়ে বড় টার্মিনাল হতে যাচ্ছে এনসিটি। ২৫ জুন বন্দর কর্তৃপক্ষ ও সাইফ পাওয়ারটেক লিমিটেডের মধ্যে নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের ৪ ও ৫ নম্বর জেটি পরিচালন-সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ৪৯ কোটি ৬৪ লাখ ২০ হাজার টাকা চুক্তিমূল্যে প্রতিষ্ঠানটি এনসিটির এ দুই জেটি পরিচালনার জন্য নির্বাচিত হয়। এ দরপত্রে সাইফ পাওয়ারটেকের সঙ্গে মেয়র আ জ ম নাছিরের প্রতিষ্ঠান এম এইচ চৌধুরী লিমিটেডের ৩০ শতাংশ এবং নোয়াখালী সদর আসনের সরকারদলীয় এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর প্রতিষ্ঠান এ অ্যান্ড জে ট্রেডার্সের ৩০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ২৩ সেপ্টেম্বর টার্মিনালটির ২ ও ৩ নম্বর জেটি পরিচালনার জন্যও বন্দরের সঙ্গে সাইফ পাওয়ারটেকের আরও একটি চুক্তি হয়। এর চুক্তিমূল্য ছিল ৪৯ কোটি ৮৭ লাখ ৩৩ হাজার টাকা।

সর্বশেষ খবর