জেলার সদর উপজেলায় যৌতুকের জন্য গৃহবধূ আমেনা বেগম বাতাসীকে (৩০) গাছের সঙ্গে বেঁধে নির্যাতনের অভিযোগে স্থানীয়রা বাতাসীর শ্বশুর ও শাশুড়িকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন। নির্যাতিতা আমেনাকে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। জেলার সদর উপজেলার কুলাঘাট ইউনিয়নের চরখাটামারী গ্রামে শনিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে। যে দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তারা হলেন- আমির হোসেন (৬০) ও আজিরন বেগম (৫৫)। স্থানীয়রা জানান, একই গ্রামের মৃত আবদুল বারিকের মেয়ে আমেনা বেগম বাতাসীর সঙ্গে প্রায় পাঁচ বছর আগে বিয়ে হয় আমির হোসেনের ছেলে আবদুল আজিজ মিয়ার (৩৫)। এরই মধ্যে বাতাসীর কোলজুড়ে আসে একটি কন্যাসন্তান। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আমেনা বেগম বলেন, ‘বিয়ের পর থেকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন বিভিন্ন সময় যৌতুক বাবদ ৫০ হাজার টাকা দাবি করেন। সে টাকা দিতে না পারায় আমার ওপর নেমে আসে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন। কন্যাসন্তান জন্ম দেওয়ার পর থেকে আমার ওপর মানসিক নির্যাতন আরও বেড়ে যায়। এরই মধ্যে শনিবার দুপুরে আমার স্বামী আজিজকে অন্যত্র বিয়ে দিতে মেয়ে দেখতে পাঠান শ্বশুর-শাশুড়ি। সন্ধ্যায় এ ঘটনা জানতে পেরে আমি এ বিষয়ে শ্বশুর ও শাশুড়িকে বললে তারা চুল ধরে টেনেহিঁচড়ে বাড়ির পাশে সুপারি বাগানে নিয়ে যান আমাকে। সেখানে তারা আমার এক হাত ও এক পা সুপারি গাছে বেঁধে লোকজনের সামনে মারধর শুরু করেন। এরপর আমি আর কিছু বলতে পারি না। আমাকে কে হাসপাতালে এনেছে তাও জানি না।’ লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এইচ এম মাহফুজার রহমান জানান, ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ঘটনায় শনিবার রাতে একটি মামলা করেছেন নির্যাতিত গৃহবধূ বাতাসী। আটক শ্বশুর ও শাশুড়িকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।