শুক্রবার, ২৩ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
প্রস্তাবিত আইন

ফাঁস প্রশ্ন সংগ্রহ করাও অপরাধ

প্রতিদিন ডেস্ক

প্রশ্ন ফাঁসকারীদের সঙ্গে ওই প্রশ্ন সংগ্রহ করাকেও অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে। পাবলিক পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস বন্ধে সরকার নতুন যে আইন আনছে, তাতে এ প্রস্তাব রয়েছে। প্রস্তাবিত আইনটি নিয়ে জনমত সংগ্রহে গত রাতে তা অনলাইনে আপলোড করা হয়েছে। বিবিসি। তবে নতুন এ আইনে প্রশ্ন ফাঁসের শাস্তি না বাড়ানো নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছ। বর্তমান আইনে চার বছরের জেল এবং জরিমানার যে বিধান রয়েছে, নতুন আইনেও তা বহাল রাখার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে যারা আন্দোলন করছেন, তারা একে প্রহসন হিসেবে বর্ণনা করছেন। প্রস্তাবিত আইনের খসড়ায় বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি পাবলিক পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস করলে অথবা এ তৎপরতায় জড়িত থাকলে অপরাধী হিসেবে গণ্য হবেন। একই সঙ্গে কেউ প্রশ্ন সংগ্রহ করে অপরাধে সহায়তা করলে তাকেও অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। শিক্ষামন্ত্রী বলেছেন, খসড়া প্রস্তাবে অপরাধীর সংজ্ঞা সুনির্দিষ্ট করা হয়েছে। তবে সমালোচনা উঠেছে শাস্তির মেয়াদ নিয়ে। চার বছরের জেল এবং ১ লাখ টাকা জরিমানার প্রস্তাব করা হয়েছে। প্রশ্ন ফাঁসের বিরুদ্ধে নাগরিক আন্দোলনের অন্যতম একজন সংগঠক রাশেদা কে চৌধুরীর ধারণা, এখনকার প্রেক্ষাপটে লঘু শাস্তি একটা প্রহসনে পরিণত হতে পারে। বর্তমানে যে পরিবেশ বা পরিস্থিতি, সেখানে প্রশ্ন ফাঁসের বিষয় একটা ব্যাধির মতো হয়ে যাচ্ছে। কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না। তাতে এ শাস্তি একেবারে লঘু হয়ে গেছে। সম্প্রতি মেডিকেল কলেজগুলোর ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ তুলে একদল শিক্ষার্থীর লাগাতার আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এ ইস্যু নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনেও আলোচনার সৃষ্টি হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ১৯৮০ সালের আইনে ১০ বছরের সাজা ছিল। বিএনপি সরকারের সময় সে সাজা কমিয়ে চার বছর করা হয়। এখন শাস্তি বাড়ানোর ব্যাপারে জনগণের মতামত এলে, তা তারা বিবেচনায় নেবেন। তবে রাশেদা কে চৌধুরী মনে করেন, শুধু আইন দিয়ে সমস্যার সমাধান হবে না। সমস্যার মূলে পদক্ষেপ নেওয়ার পাশাপাশি তিনি মানুষের সচেতনতা সৃষ্টির ওপরও গুরুত্ব দেওয়া উচিত বলে মনে করেন।

সর্বশেষ খবর