বৃহস্পতিবার, ২৯ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা

বন্দুকযুদ্ধে ‘ডাকাত’ শিপন নিহত

বাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের মৃগমারী এলাকার শ্যালা নদীর পাড়ে র‌্যাবের সঙ্গে কথিত বন্দুকযুদ্ধে বনদস্যু শিপন বাহিনীর প্রধান শিপন (৩২) নিহত হয়েছেন। গতকাল সকালে  সুন্দরবনের গহিন অরণ্যে এই বন্দুকযুদ্ধের পর র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থল থেকে বনদস্যুদের ব্যবহৃত দেশি-বিদেশি ১৮টি আগ্নেয়াস্ত্র, ২৮৬ রাউন্ড তাজা গুলি ও ৪৩ রাউন্ড গুলির খোসাসহ বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করেছে। র‌্যাব-৮-এর অপারেশন অফিসার মেজর আদনান জানান, গতকাল ভোরে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের মৃগমারী এলাকার শ্যালা নদীর পাড়ে বনদস্যু শিপন তার সহযোগীদের নিয়ে জেলেবহরে ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছেন এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র‌্যাব সদস্যরা সেখানে অভিযান চালান। অভিযান চলাকালে বনদস্যুরা উপস্থিতি টের পেয়ে র‌্যাব সদস্যদের লক্ষ্য করে গুলি ছুড়তে থাকে। এ সময় র‌্যাব সদস্যরাও পাল্টা গুলি ছোড়ে। একপর্যায়ে বনদস্যুরা গুলি ছোড়া বন্ধ করে পিছু হটে সুন্দরবনের গহিনে পালিয়ে যায়। র‌্যাব সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে এক বনদস্যুর লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। পরে জেলেরা লাশটি বনদস্যু শিপন বাহিনীর প্রধান শিপনের বলে শনাক্ত করেন। ঘটনাস্থল তল্লাশি করে বনদস্যুদের ব্যবহৃত দেশি-বিদেশি সাতটি একনলা বন্দুক, দুটি দোনলা বন্দুক, পাঁচটি ওয়ান শুটারগান, দুটি কাটারাইফেল, দুটি টুটু বোর রাইফেল, ২৮৬ রাউন্ড তাজা গুলি, ৪৩ রাউন্ড গুলির খোসা, ধারালো অস্ত্র, একাধিক মোবাইল ফোন, সিম কার্ড ও জেলে-বনজীবীদের কাছ থেকে চাঁদা আদায়ের কার্ড হিসেবে ব্যবহৃত লেমিনেটিং করা সর্বমোট ২৩৪ টাকার নোটের টোকেনসহ বনদস্যুদের বিভিন্ন মালামাল উদ্ধার করেন র‌্যাব সদস্যরা। নিহত বনদস্যু শিপনের বাড়ি ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর হলেও তিনি দীর্ঘদিন ধরে মংলায় বসবাস করতেন। মেজর আদনান জানান, এই বন্দুকযুদ্ধের ঘটনায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে মংলা থানায় মামলা হয়েছে। বনদস্যু শিপনের লাশ, উদ্ধারকৃত আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলিসহ মালামাল দুপুরে মংলা থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। বনদস্যু শিপন নিজের নামে বাহিনী গড়ে তুলে সুন্দরবনে দীর্ঘদিন ধরে দস্যুতা করে আসছিলেন।

সর্বশেষ খবর