শনিবার, ৩১ অক্টোবর, ২০১৫ ০০:০০ টা
কৃষি সংবাদ

শীতকালীন সবজিতে কৃষকের মুখে হাসি

নিজস্ব প্রতিবেদক, রাজশাহী

শীতকালীন সবজিতে কৃষকের মুখে হাসি

অতিবর্ষণে তলিয়ে গিয়েছিল ক্ষেতের ফসল। ফলে হতাশায় ছিলেন চাষিরা। তবে বর্ষণের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে রাজশাহীর বিভিন্ন এলাকায় চাষ হয়েছে বিপুল পরিমাণ শীতকালীন সবজি। ইতিমধ্যে আগাম শীতকালীন সবজি পাওয়া যাচ্ছে রাজশাহীর বাজারে। তবে দাম একটু চড়া।

রাজশাহীর মোহনপুর, পবা, গোদাগাড়ী, চারঘাট, বাঘা, দুর্গাপুরে চাষ হয়েছে লাউ, শিম, বেগুন, বরবটি, ফুলকপি, বাঁধাকপি, লালশাক, মুলা, পালং শাক। এসব সবজিতে ভরে গেছে ওই এলাকার বিস্তীর্ণ জমি। স্থানীয় বাজারগুলোর চাহিদা মিটিয়ে রাজধানী  ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় সরবরাহ করা হচ্ছে এসব সবজি। আগাম সবজি চাষে লাভের মুখ দেখছেন স্থানীয় কৃষকরা। রাজশাহীর ৬টি উপজেলায় প্রায় সাড়ে আট হাজার হেক্টর জমিতে শীতকালীন সবজির আবাদ হয়েছে। গত বছর এর পরিমাণ ছিল সাড়ে ৭ হাজার হেক্টর। মোহনপুরের পালসা গ্রামের চাষি আয়নাল হক জানান, গেল বর্ষণে রাজশাহীর সবজির বেশ ক্ষতি হয়েছিল। পানিতে সবজি ক্ষেত ডুবে গিয়ে চিচিঙ্গা, ঢেঁড়স, ডাটা, বেগুনের সবজি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। এতে কৃষকরা চরমভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিলেন। সেই ক্ষতি পুষিয়ে নিতেই কৃষকরা পুরোদমে শীতকালীন সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েন। আগাম সবজি চাষে ফলন ভালোই হচ্ছে বলে জানান তিনি। গোদাগাড়ীর চাষি রবিউল ইসলাম জানান, শীতকালীন অন্য সবজির পাশাপাশি এবার তিনি টমেটো চাষ করেছেন। সারা বছর সবজি চাষ করলেও শীতের সবজি চাষের গুরুত্ব অন্যরকম। বাজারে আগাম সবজি সরবরাহ করতে পারলে ভালো লাভ পাওয়া যায়। সবজি চাষেই তাদের সংসার চলে। পবা উপজেলার বড়গাছীর চাষি আব্বাস আলী জানান, এ বছর তিনি অন্যান্য সবজির পাশাপাশি ৫০ শতাংশ জমিতে লাউ চাষ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে ২০ হাজার টাকা। অগ্রহায়ণ থেকে চৈত্র মাস পর্যন্ত তিনি এই লাউ বিক্রি করতে পারবেন। ইতিমধ্যে তিনি প্রায় ৯০ হাজার টাকার লাউ বিক্রি করেছেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা খয়ের উদ্দিন মোল্লা জানান, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলায় সবচেয়ে বেশি সবজির চাষ হয়ে থাকে। মোহনপুরে এক হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে সবজির চাষ হয়েছে। এবার উৎপাদন ভালো হওয়ায় চাষিরা লাভবান হবেন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর