রবিবার, ১ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা

প্রশ্ন বিক্রি হয় ৩ থেকে ৫ লাখ টাকায় : ডিবি

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রশ্নপত্র বিক্রির পর পরীক্ষার্থীদের মূল সনদপত্র জামানত হিসেবে নেওয়া হতো। প্রশ্নপত্রের জন্য তারা ৩ থেকে ৫ লাখ টাকা নিত। পরীক্ষার্থীরা যতদিন প্রশ্নপত্রের এ টাকা না দিত ততদিন পর্যন্ত তাদের সনদপত্র জমা রাখা হতো। কোনো পরীক্ষার্থী পাঁচজনকে এনে দিলে প্রশ্নপত্র বিনামূল্যে পেত। এভাবেই একটি চক্র বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিচ্ছু পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র বিক্রি করে আসছিল বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ডিসি (উত্তর)  শেখ নাজমুল আলম। শুক্রবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও ও ধোলাইখাল এলাকায় অভিযান চালিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস চক্রের ১৭ জনকে আটক করে গোয়েন্দা পুলিশ। তারা হলেন জোবায়ের হোসেন, সাজু আহমেদ, মাহমুদুল হাসান, সামিউল ইসলাম, ছাব্বির হোসেন, হাসানুর রশিদ, মেহেদী হাসান, হৃদয় ইসলাম, রায়হান রাব্বি, আকাশ আহম্মেদ, তানভীর, সবুজ খান, সোহাগ, মেহেদী হাসান, আকিব বিন বারি, নাহিদুল হক ও মানিক মিয়া। এদিকে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে আটক ১৭ জনকে তিন দিনের রিমান্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল ওই ১৭ জনকে ঢাকা মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে (সিএমএম) হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। শুনানি শেষে বিচারক এস এম মাসুদ জাম্মান প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

শেখ নাজমুল আলম বলেন, আটকদের কাছ থেকে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার মূল সদনপত্র, ট্রান্সক্রিপ্ট, মোবাইল ফোন সেট, হোয়াটস আপে পাঠানো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র, ফেসবুকে যোগাযোগ ও অ্যাড দেওয়ার কথাবার্তার ডাউনলোড করা কপি উদ্ধার করা হয়। তারা প্রথমে ভর্তিচ্ছুদের কাছ থেকে মূল সনদপত্র জমা রেখে প্রশ্নপত্র সরবরাহ করতেন। গোয়েন্দা কর্মকর্তা আরও জানান, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন ফাঁস বন্ধ করতে কমিটি গঠন করে। তাদের সোর্সের মাধ্যমে খবর পেয়ে পুলিশকে জানায়। পরে গোয়েন্দা পুলিশ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জিয়া হল থেকে জোবায়েরকে আটকের পর তার দেওয়া তথ্যমতে বাকিদের আটক করা হয়। গত শুক্রবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের অধীন প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় জালিয়াতির অভিযোগে ভর্তিচ্ছু চার শিক্ষার্থীকে দুই বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় মোবাইল ফোন সেট বহন করার ওপর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করায় ও ডিজিটাল জালিয়াতির প্রমাণ পাওয়ায় তিনজন শিক্ষার্থীকে কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর