মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
মন্ত্রিসভার বৈঠক

পে-স্কেল নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বসার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক

অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত মন্ত্রিসভাকে জানিয়েছেন, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষকসহ সব ক্যাডারের কর্মকর্তারাই গ্রেড-১-এ যেতে পারবেন। এ জন্য সিলেকশন গ্রেড ও টাইম স্কেলের প্রয়োজন হবে না। মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পে-স্কেলের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীকে জানাতে বললে অর্থমন্ত্রী এসব কথা জানান। মন্ত্রিসভা বৈঠক সূত্রে জানা গেছে এসব তথ্য। এ ছাড়া বৈঠকে আগামী বছরের ছুটির তালিকা অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা, যাতে ২২ দিন থাকছে সরকারি ছুটি। গতকাল সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভাকক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে ২০১৬ সালের সরকারি ছুটির তালিকা অনুমোদন দেওয়া হয়।

বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম সাংবাদিকদের জানান, ২০১৬ সালের জন্য ১৪ দিন সাধারণ ছুটি এবং নির্বাহী আদেশে আট দিন সরকারি ছুটি মিলিয়ে মোট ২২ দিন ছুটি থাকবে। এর মধ্যে চার দিন হচ্ছে শুক্র-শনিবার। এ ছাড়া বিভিন্ন সম্প্রদায়ভুক্ত কর্মচারীদের ধর্মীয় অনুষ্ঠানে আরও তিন দিনের ঐচ্ছিক ছুটি অনুমোদন করেছে মন্ত্রিসভা। মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, জাতীয় দিবস ও বিভিন্ন সম্প্রদায়ের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় অনুষ্ঠান মিলিয়ে এবার সাধারণ ছুটি ১৪ দিন। এসব ছুটির চার দিন পড়েছে শুক্র-শনিবারে। বাংলা নববর্ষ ও বিভিন্ন ধর্মীয় দিবস উপলক্ষে নির্বাহী আদেশে আট দিন সরকারি ছুটি থাকবে। এসব ছুটি কোনো বন্ধের দিনে পড়েনি। পার্বত্য চট্টগ্রাম এলাকার নৃ-গোষ্ঠীর প্রধান সামাজিক উৎসব বৈসাবি উপলক্ষে সেখানে ২৯ চৈত্র ও ২ বৈশাখ ঐচ্ছিক ছুটির সুযোগ থাকবে। ওই সম্প্রদায়ের সদস্যরা এ দুই দিন ঐচ্ছিক ছুটি নিতে পারবেন। ২০১৬ সালের বর্ষপঞ্জিতেও এই ঐচ্ছিক ছুটি অন্তর্ভুক্ত থাকবে। মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, বাংলা একাডেমি, ধর্ম মন্ত্রণালয়, আবহাওয়া অধিদফতরের মতামত নিয়ে মন্ত্রিসভা ২০১৬ সালের সরকারি ছুটি নির্ধারণ করেছে। প্রসঙ্গত, সাপ্তাহিক ছুটি বাদে ২০১৫ সালে ২৩ দিন সরকারি ছুটি ছিল, যার মধ্যে ১১ দিন ছুটি পড়েছিল সাপ্তাহিক ছুটির মধ্যে। এদিকে বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, পে-স্কেলের সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে অর্থমন্ত্রীর বক্তব্যের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অর্থমন্ত্রীকে নির্দেশ দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট সবার সঙ্গে বসে আলোচনা করার জন্য।

এ সময় মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য বলেন, শিক্ষকরা অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বসতে চান না। জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে না বসলে সমস্যার সমাধান হবে কীভাবে। অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে না বসলে আমার সঙ্গে বসবেন কীভাবে।’

এ ছাড়া বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, ঈদের ছুটি আরও বাড়ানোর প্রস্তাব করেন শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু। তিনি বলেন, তিন দিনের ছুটিতে মানুষের দুর্ভোগ হয় বেশি। তাই ছুটি দুই দিন বাড়ানোর প্রস্তাব করেন তিনি। তার এ প্রস্তাবে সায় দেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। তবে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেন, আগামী ঈদে লম্বা ছুটি আছে। তাই এবার আর এ নিয়ে আলোচনার দরকার নেই।

সর্বশেষ খবর