মঙ্গলবার, ৩ নভেম্বর, ২০১৫ ০০:০০ টা
সংস্কৃতি

‘কবর’ মঞ্চস্থ

সাংস্কৃতিক প্রতিবেদক

টাঙ্গাইলের সংকেত নাট্যদলের আয়োজনে শুরু হওয়া তিন দিনব্যাপী উৎসবের দ্বিতীয় সন্ধ্যায় গতকাল মঞ্চায়ন হলো ঢাকার আরণ্যক নাট্যদল প্রযোজিত প্রথম নাটক ‘কবর’। একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হয় এই নাটকটি।

১৯৫৩ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সাংবাদিক রণেশ দাশগুপ্ত একটি চিরকুট পাঠালেন পাশের সেলে মুনীর চৌধুরীর কাছে। চিঠিতে লেখা ছিল, ২১ ফেব্রুয়ারি রাতে জেলের অভ্যন্তরেই একটি নাটক করতে হবে। চটজলদি শুরু হলো নাটক লেখার কাজ। একসময় শেষ হলো লেখা। ২১ ফেব্রুয়ারি জেলের অভ্যন্তরে রাতে হারিকেনের আলো  আঁধারিতে একটি কবরস্থানের পরিবেশ সৃষ্টি করে কয়েদিদের সামনে ‘কবর’ নাটকটি প্রদর্শিত হয়। ওই সময় এতে অভিনয় করেন কিছু কয়েদি। নাটকের কাহিনীতে কবরস্থানে একটি রাত, শহরময় কারফিউ চলছে। ভোরের মধ্যেই লাশগুলো গুম করতে হবে। চলছে কবর খননের কাজ। শেষ হলো গুম করা, ভোর হলো।  শহীদ মুনীর চৌধুরী রচিত কবর নাটকের মাধ্যমেই ১৯৭২ সালে যাত্রা শুরু করেছিল আরণ্যক নাট্যদল। সে সময় এর নির্দেশনা দিয়েছিলেন মামুনুর রশীদ। তবে নব নাট্যনির্মাণে নির্দেশনা দিয়েছেন আবু হাশিম মাসুদুজ্জামান। ‘কবর’ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন- রুহুল আমিন, সাজ্জাদ সাজু, আরিফ হোসেন আপেল প্রমুখ।

দীপনের খুনিদের শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন : প্রকাশনা সংস্থার জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী ফয়সাল আরেফিন দীপনের খুনিদের শাস্তি দাবি করেছে লেখক-প্রকাশকরা।

গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত মানববন্ধনে লেখক-প্রকাশকরা এ দাবি জানান। এ সময় বেশকিছু বইয়ে আগুন দেওয়া হয়। এ ছাড়া সারা দেশে বইয়ের দোকান আধাবেলা বন্ধ রেখে কর্মসূচি পালন করেন লেখক-প্রকাশকরা। নৃশংস ওই হামলার প্রতিবাদ এবং প্রকাশকদের নিরাপত্তার দাবিতে সারা দেশের জেলা প্রশাসক বরাবর বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির পক্ষ থেকে স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। মানববন্ধন থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়। এ ছাড়া আজ স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি দেওয়ারও ঘোষণা দেওয়া হয় মানববন্ধন থেকে। শাহবাগ আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ কার্যালয়ে গত শনিবার দুপুরে দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

 প্রায় একই সময় লালমাটিয়ায় শুদ্ধস্বর প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী আহমেদুর রশীদ টুলুসহ তিনজনকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করা হয়। ওই দুই হামলার প্রতিবাদে যৌথভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধনের আয়োজন করে বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতি এবং বাংলাদেশ পুস্তক প্রকাশক ও বিক্রেতা সমিতি।

এ সময় এ মানববন্ধনের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করে ‘অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের জন্য গণমাধ্যম’ নামের অপর এক সংগঠন।

এই রকম আরও টপিক

সর্বশেষ খবর